নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ষার শুরু হতে না হতেই বন্যার আশঙ্কায় দিন গুনছেন গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের মানুষ। বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় দামোদরে জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাতেই বন্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রায় প্রতিবছরই উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়। উল্লেখ্য, বন্যা প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের তরফে নদী বাঁধ সংস্কারের মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও তা লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ। আর তার জেরেই বন্যার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে মানুষের মনে। এখনও বর্ষা সেভাবে শুরু না হলেও ইতিমধ্যেই দামোদরে বেড়েছে জল। কানায় কানায় পূর্ণ দামোদর।
প্রস্তুতি হিসাবে দামোদরের পাড়ে মজুত করা হচ্ছে বালির বস্তা। দুর্বল বাঁধের অংশে ইতিমধ্যেই বালির বস্তা দিয়ে ঘেরা হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ডিভিসি জল ছাড়লেই প্লাবিত হয়ে যাবে বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে আতঙ্কে দিন গুনছেন সাধারণ মানুষ থেকে লকডাউন কাটিয়ে চাষাবাদের কাজ শুরু করা কৃষকরা। কৃষকদের কথায়, “এখন ধান রোয়ার কাজ চলছে। প্লাবিত হলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।”
দামোদরের জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মিত বাঁধ পরিদর্শন করছেন স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা। তিনি জানান, “ডিভিসি কাউকে না জানিয়েই জল ছেড়ে দিয়েছে। তার জেরেই দামোদরে জল বেড়েছে। তবে এখনও বিপদ সীমার উপরে যায়নি জল।” আগামীদিনে মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে বন্যা আর হবে না বলেই দাবি বিধায়কের।