নিজস্ব সংবাদদাতা : আইন অমান্য করেই বাজারে খোকা ইলিশের রমরমা। বর্ষার মরশুম প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত বাঙালির পাতে অধরা ইলিশ। বর্ষায় সমুদ্র থেকে নদীতে এসে ডিম পাড়ে বাঙালির প্রিয় ইলিশ। জেলেদের সেই সময় না থাকে খাওয়া দাওয়ার সময়। প্রধানত বর্ষাতেই জেলেদের সারাবছরের উপার্জন হয় ইলিশ শিকার করে। কিন্তু জেলেরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছেন জালের ফাঁদ ছোট করে। সেই জালেই ধরা দিচ্ছে ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রামের খোকা ইলিশ। সরকার একসময় খোকা ইলিশ ধরা, বিক্রয় করা উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যেই খোলা বাজারে খোকা ইলিশের রমরমা। উলুবেড়িয়ার প্রত্যেক বাজারে গেলেই চোখে পড়বে খোকা ইলিশ। খোকা ইলিশের দাম সাধ্যের মত হওয়াতে মধ্যবিত্তরা বাজারের ব্যাগে ভরে বাড়ি ফিরছেন। শ্যামপুর থানার নাকোল জেলে পাড়ার এক জেলের কথায়, “প্রশাসনের নজরদারি নেই, তাই সকলেই খোকা ইলিশ ধরছে। তাই আমিও ধরছি। এতে ভুল কোথায়?” বাগনান পাইকারি মাছ বাজারের এক আড়ৎদার কে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন “ছেলেরাই ছোট ইলিশ ধরে নিয়ে আসে। কম দামে কিনে নিই।” শ্যামপুর থানার আঁটিলাপাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধ গ্রামবাসী প্রফুল্ল পোড়েকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “৯০ এর দিকে রূপনারায়নে বড় বড় ইলিশ মাছ জেলেদের জালে উঠত। এক একটির ওজন দেড় কেজি। যতদিন যাচ্ছে তত ছোট ইলিশ ধরে রূপনারায়নে নিজেরাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন এলাকার মাছের আড়ৎ গুলি মাছের অভাবে ধুঁকছে।” শ্যামপুর থানা লাগোয়া এক মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও ছোট খোকা ইলিশের রমরমা। এক মাছ ব্যবসায়ী জানান বেশিরভাগ ক্রেতা বড় ইলিশের বেশি দামের জন্য ছোট ইলিশ কিনেই বাড়ি যান। তাহলে সরকারি নজরদারি কোথায়? পরিবেশপ্রেমী তানিয়া পাল জানান “কয়েকবছর পর হারিয়ে যাবে ইলিশ। গোটাকতক পেলেও দাম থাকবে নাগালের বাইরে। প্রশাসনের নজরদারি আটোসাটো না হলে ডাইনোসরের মতোই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বাঙ্গালীর প্রিয় ইলিশ।”
নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যেই খোলা বাজারে খোকা ইলিশের রমরমা
Updated on: