নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোটের রেজাল্টের পর থেকেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন বহু তাবড় নেতা-কর্মী। সেই পথেই সামিল হয়েছিলেন উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত মন্ডল ও উপ-প্রধান দীপিকা মাইতি। তাঁরা কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ঝান্ডা তুলে নিয়েছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। নতুন প্রধান নির্বাচিত হলেন গোপাল কোলে।
উল্লেখ্য, ১৬ টি আসন বিশিষ্ট বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীরা ১০ টি আসনে জয় লাভ করেছিলেন। তৃণমূল পেয়েছিল ৪টি আসন। সিপিএম ও নির্দল পেয়েছিল ১ টি করে আসন। প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির প্রশান্ত মন্ডল। নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। গত ১১ই জুন প্রধান প্রশান্ত মন্ডল প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেন। গত ২৯ শে জুন প্রধান প্রশান্ত মন্ডল, উপপ্রধান দীপিকা মাইতি, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার তনুশ্রী হালদার এবং সিপিএম সদস্যা নুরকেশ বেগম তৃণমূলে যোগদান করেন। এর জেরে ১৬ আসন বিশিষ্ট বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতে ৯ জন সদস্যের সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয় তৃনমূল। সোমবার ভোটাভুটিতে বিজেপির ৬ জন ভোটদানে বিরত থাকেন। তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়ে ৮টি।
উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নির্মল মাজি জানান, তাদের পক্ষে ৮ জন ভোট দিলেও একজন চিকিৎসাজনিত কারণে অনুপস্থিত ছিলেন পাশাপাশি আর এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ মান্না ভোটদান না করলেও তৃণমূলে যোগদান করার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের দাবি তাদের পক্ষে মোট ১০ জনের সমর্থন রয়েছে। ভোটাভুটির পর প্রধান নির্বাচিত হন গোপাল কোলে এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন আগের উপপ্রধান দীপিকা মাইতি। তাদের নাম প্রস্তাব করেন আগের প্রধান প্রশান্ত মন্ডল।
যদিও হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি সভাপতি প্রত্যুষ মন্ডল বলেন, তৃনমূল মিথ্যা দাবি করছে। ৪ জন নয় ২ জন সদস্য তৃনমূলে যোগদান করেছেন। বাকি অনুপস্থিত ২ সদস্য এখনো বিজেপিতেই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ঘটনা অনৈতিক। দলত্যাগ আইনে বিজেপি এর বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও তিনি জানান।