নিজস্ব সংবাদদাতা : অনিয়মিত ফেরি সার্ভিস এর অভিযোগে ফেরিঘাটে ব্যাপক ভাঙচুর। ভাঙচুরের অভিযোগ লঞ্চের যাত্রীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুর থানার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়া লঞ্চ ঘাটে। ঘটনায় এগারো জনকে আটক করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। জানা গেছে গাদিয়াড়া লঞ্চ ঘাট থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নুরপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি ফেরি সার্ভিস রয়েছে। একটি লঞ্চ ও একটি ভেসেলের মাধ্যমে চলে এই ফেরি সার্ভিস।
রবিবার বিকেলে নুরপুর থেকে গাদিয়াড়া লঞ্চ ঘাটে ফেরার সময় মাঝ নদীতে খারাপ হয়ে যায় লঞ্চটি। ভেসেলের সাহায্যে যাত্রীদের নিয়ে আসা হয় গাদিয়াড়া লঞ্চ ঘাটে। তারপর থেকে ভেসেলটি দিয়ে ভাগ করে দুটি ঘাটে ফেরি সার্ভিস চালানো হচ্ছিল। সোমবার সকাল ছটা পঞ্চাশ মিনিটে ভেসেলটি গেঁওখালি থেকে গাদিয়াড়া ঘাটে এসে পৌঁছাতেই, অভিযোগ এরপরেই ঘাটে উপস্থিত নুরপুরের যাত্রীরা লঞ্চ ঘাটের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং গেঁওখালি থেকে আসা যাত্রীদের আটকে দেয়।
তাদের দাবি অবিলম্বে লঞ্চ এবং ভেসেল দুটিই চালু করতে হবে। লঞ্চ ঘাটের কর্মী অশোক পাল বলেন আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে, নুরপুরে লঞ্চ মেরামতির যন্ত্রপাতি এবং মেকানিক চলে এসেছে। ভেসেলটি নুরপুরে পোঁছে সেখান থেকে ফেরার সময় এই ভেসেলে করেই তিনি আসবেন। তিনি লঞ্চ সারানোর পর লঞ্চ এবং ভেসেল দুটিরই পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু যাত্রীরা কোন কথা না শুনেই ভাঙচুর শুরু করে। লঞ্চ ঘাটের অফিস সহ ভিতরে থাকা চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, কম্পিউটার সহ সি সি ক্যামেরা গুলি ভেঙে ফেলে।
পরে শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে এই ঘটনায় পুলিশ এগারো জন যাত্রীকে আটক করেছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন প্রায়শই হয় লঞ্চ বা ভেসেল খারাপ থাকে। অফিস যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ চরম সমস্যায় পড়েন। এদিন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলেই এই ঘটনা।
গাদিয়াড়া লঞ্চ ঘাটের ইনচার্জ উত্তম রায়চৌধুরী বলেন রবিবার বিকালে লঞ্চটি খারাপ হয়ে গেলে রাতের বেলাই সেটি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও উপযুক্ত যন্ত্রের অভাবে সারানো সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে আমরা যাত্রীদের বলেছিলাম যে, মেকানিক এসে গেলে দুই এক ঘন্টার মধ্যেই সেটি চালু করা যাবে। কিন্তু ওরা কোনো কথা না শুনে ভাঙচুর করতে শুরু করে দিলো। যাত্রীদের প্রায়শই লঞ্চ খারাপ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরো বলেন মানুষের শরীরের মতো মেসিন খারাপ হতেই পারে। তার জন্য ভাঙচুর করাটা যুক্তিযুক্ত নয়।