নিজস্ব প্রতিবেদক : হাওড়া জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র ইতিহাস, নানা জানা-অজানা কাহিনী। হাওড়া জেলার বুকে বহু প্রাচীন কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। তেমনই একটি নাম গ্রামীণ হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার পাতিহালের ভট্টাচার্য বাড়ি। ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো বয়সে খুব প্রাচীন না হলেও ঐতিহ্যে ভরপুর। যদিও এই পারিবারিক পুজোর সূচনা হুগলী জেলার মশাটের মুকুন্দপুর গ্রামে। তারপর সেই গ্রাম থেকে ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা এলেন পাতিহাল গ্রামে। এখানে আসার পর কিছু বছর পুজো বন্ধ ছিল। তারপর একদিন গৃহকর্তাকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন। আবার শুরু হয় মা কালীর আরাধনা। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
সময়টা আনুমানিক ৫৫ বছর আগে। নিজস্ব ঠাকুরদালানে পারিবারিক পরিসরে দেবী দক্ষিণাকালীর আরাধনা হয়। আমতার রসপুর নিবাসী মৃৎশিল্পীরা দেবীকে নির্মাণ করেন বংশপরম্পরায়। চতুর্ভুজা দক্ষিণাকালী, দেবীর উচ্চতা নবম বর্ষীয়া বালিকার ন্যায়। সারা অঙ্গ জুড়ে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন অলংকার। প্রতিবছর কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সারা রাত ধরে মাতৃ আরাধনা হয়। এছাড়াও ডন্ডী(গন্ডি) কাটা, ধুনো পোড়া সহ বিভিন্ন আচার পালন করা হয়। চালু আছে বলিদান প্রথাও। দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় অন্নভোগ। প্রথম দিকে এই পরিবারের পুজোয় পৌরহিত্য করতেন পাতিহাল গ্রামের শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত পশুপতি শাস্ত্রী। পুজো উপলক্ষে অনেক মানুষের সমাগম হয় ভট্টাচার্য বাড়িতে।