নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্কুলের তরফে লাগাতার প্রচারের পরেও এখনো গ্রামেগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। পিরিয়ডের সময় অনেক মহিলাই পুরানো কাপড় ব্যবহার করেন। এর ফলে ইনফেকশন ও বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হয় মহিলাদের। এই সামাজিক সমস্যা দূরীকরণের বার্তা দিতে ও নিজের মেয়ের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে মেয়ের ৫ বছরের জন্মদিনে আমতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’-এর হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দিলেন গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা কুহেলি গোঁড়া।
জানা গেছে, পেশায় শিক্ষিকা কুহেলি জ্যোতির একমাত্র মেয়ে মেহুলি বৃহস্পতিবার ৫ বছরে পদার্পণ করল। নিজের মেয়ের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে কোনোরকম আড়ম্বর নয়, বরং স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো ভাবনাকেই বেছে নেন ইংরেজির শিক্ষিকা কুহেলি গোঁড়া। তিনি জন্মদিন উপলক্ষে আমতার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদেরকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যের হাতে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেয় ছোট্ট মেহুলি ও তার মা। কুহেলির কথায়, “প্রতিবারই মেয়ের জন্মদিনকে বিশেষভাবে পালন করতে কখনো পৌঁছে যাই প্রান্তিক শিশুদের মাঝে আবার কখনো বা অসহায় মানুষের মাঝে। তবে করোনার জেরে এবার তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই এবার এই ভাবনা।”
তিনি বলেন, “এখনো সমাজের বহু নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে সচেতন নন। অনেকের পক্ষে আবার লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ন্যাপকিন কেনা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আবার অন্যদিকে, মেয়ের মধ্যে ছোটো থেকেই স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই ভাবনা।” উল্লেখ্য, আমতার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাত্রীদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি, প্রায়শই বিনামূল্যে প্রান্তিক মহিলাদের দ্বারে স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দেন আমতার এই সংগঠনের সদস্যরা। স্যানিটারি ন্যাপকিন কোনো সোশ্যাল ট্যাবু নয়, বরং সব মেয়ের মধ্যেই ছোটো থেকে এবিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার বলে মনে করেন কুহেলি।