নিজস্ব সংবাদদাতা : বঙ্গে ভোটের বাদ্যি গিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল প্রার্থী ঘোষণা না করলেও দলীয় প্রতীক নিয়েই গ্রাম থেকে শহর সব জায়গায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। যেহেতু এবার নির্বাচনে প্রচারের সময় বেশ খানিকটা কম তাই রাজনৈতিক দলগুলি অনেকটাই ডিজিটাল প্রচার ও পেশাদার শিল্পী দিয়ে ভোটের প্রচার করতে চাইছে।
কিন্তু, বঙ্গের মানুষের পালস বুঝতে দেওয়াল লিখন যে একটা বড়ো ফ্যাক্টর তা একবাক্যে মেনে নেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এ ক্ষেত্রে নিজেদের কর্মীদের লেখা দেওয়াল লিখনকেই আপাতত ভরসা করছে বিজেপি। বি জে পি নেতৃত্বের একাংশের দাবী, পেশাদার আর্টিস্ট দিয়ে দেওয়াল লেখালে তার ইমপ্যাক্ট সাধারন ভোটারের কাছে পড়ে না।
কিন্তু, একজন কর্মী যদি দেওয়াল লেখে তা হলে সাধারন ভোটাররা অনেকটাই প্রভাবিত হন। আর এই সুত্র মেনেই এবার গ্রামীণ হাওড়ায় পাঁচলায় সরাসরি দেওয়াল লিখনে সামিল হলেন পাঁচলা বিধানসভা এলাকার একদা ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা ও হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য মোহিতলাল ঘাঁটি। বুধবার দলবল নিয়ে তিনি দেওয়াল লিখনে নেমে পড়লেন।
উল্লেখ্য, মোহিতলাল ঘাঁটি পাঁচলায় কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সেই মোহিত ঘাঁটি এখন বিজেপি শিবিরে। ফলে এই এলাকায় বেশ চাপে তৃণমূল শিবির। অন্তত এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গে মোহিতলাল ঘাঁটি জানান, “প্রার্থী নয় প্রতীকটাই আসল। এবার খেলা হবে, বলছে তৃণমূল। আমি বলছি, “খেলার ঠ্যালা, বুঝবে হলে বেলা।” উল্লেখ্য, এই স্লোগান ইতিমধ্যেই পাঁচলার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।