নিজস্ব সংবাদদাতা : পাহাড়কে খুব ভালোবাসতেন। তাই সুযোগ পেলেই পাহাড়ের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়তেন। পাহাড়ের বুক চিড়ে বিভিন্ন পাসে, দুর্গম অভিযানে সামিল হতেন। সেই পাহাড়ের বুকেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন গ্রামীণ হাওড়ার বাগনানের তিন যুবক শরিৎশেখর দাস(৩৫), চন্দ্রশেখর দাস(৩২) ও সাগর দে(২৭)। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুজোর ছুটিতে উত্তরাখন্ডের কানাকাটা পাসে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন বাগনানের এই তিন যুবক। সাথে ছিলেন কোলকাতার ঠাকুরপুকুরে সাধন বসাক(৬৩) ও নদীয়ার রাণাঘাটের প্রীতম রায়(২৫)। উত্তরাখন্ডে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে পাঁচজনই নিঁখোজ ছিলেন। ক্রমশ বাড়ছিল উৎকন্ঠা। উত্তরাখন্ড পুলিশের তরফ থেকে একাধিকবার উদ্ধারকারী দল ও হেলিকপ্টার গিয়েও খারাপ আবহাওয়ার জন্য তল্লাশি অভিযান চালাতে ব্যর্থ হয়।
অবশেষে সমস্ত আশঙ্কাকে সত্যি করে পাঁচ অভিযাত্রীর নিথর দেহ মিলল। সূত্র মারফত জানা গেছে, উত্তরাখন্ডের দেবীকুন্ডের কাছ থেকে এই পাঁচ বাঙালি অভিযাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার করেছেন উত্তরাখন্ড রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই সরিৎশেখরের কাকা বিশ্বজিৎ দাস সহ তিনজন বাগেশ্বরে পৌঁছেছেন।
বিশ্বজিৎ দাস জানান, “দেহ পাওয়া গেছে। দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় যোগাযোগ রাখছি।” দু’ই ভাই সরিৎশেখর ও চন্দ্রশেখর দাস এবং পেশায় চিকিৎসক সাগর শুধু বাগনান নয় ট্রেকিং জগতে বেশ পরিচিত ছিলেন। তাঁদের মৃত্যু সংবাদ এসে পৌঁছাতেই বাগনান ও বাংলার ট্রেকার্স মহলে শোকের ছায়া নেমেছে।