নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার বিকালে ডাম্পারের চাকার তলায় পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক দম্পতির। অভিযোগ উঠেছিল রাস্তার উপরে পড়ে থাকা বালিতে পিছলে যাওয়ার কারনেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছিল। দূর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসল চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ব্যবসায়ীরা বা কোনো ব্যাক্তি রাস্তার উপরে যাতে করে বালি স্টোনচিপ সহ কোনো প্রকার ইমারতি দ্রব্য না রাখেন সেই বিষয়ে জারি করা হলো নির্দেশিকা। যারা ওইসব দ্রব্য রাস্তার উপর রেখেছেন তাদের দ্রুত সেই সমস্ত ইমারতি দ্রব্য দ্রুত সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। শুধু কাগজে কলমে নির্দেশ দেওয়াই নয়। নির্দেশ কার্যকর করতে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ কর্তারা পথেও নামলেন। মঙ্গলবার সারাদিন ধরে এলাকার বড় ছোট বিভিন্ন রাস্তায় মাইকে করে তা প্রচার করেন। পঞ্চায়েতের প্রধান রেজাউল করিম ও উপপ্রধান সহদেব রুইদাস বলেন, শুনেছি চন্ডীপুরে ওটি রোডে পথ দূর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে বালিতে চাকা পিছলে যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। তা রুখতেই আমরা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েছি। নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়ার বাসিন্দা দম্পতি গৌতম বাগ (৪২) ও রেবা বাগ (৩৭) মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রন দিতে গড়চুমুক যাচ্ছিলেন বাইকে চেপে। ওটি রোডের চন্ডীপুরের কাছে রাস্তার উপর পড়ে থাকা বালিতে তাদের বাইক পিছলে যায়। তারা দুজনেই পড়ে যান। উল্টো দিক থেকে আসা ছাই বোঝাই একটি লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে যান তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌতম ও রেবার। স্থানীয়রা পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন পুলিশ ও প্রশাসনের উদাসীনতায় দিনের পর দিন ওটি রোডের উপরে পড়ে থাকে ইট, বালি, স্টোনচিপ সহ নানান ইমারতি দ্রব্য। এর জেরে দূর্ঘটনার শিকার হন সাধারণ মানুষ। এজন্য সাধারণ মানুষ পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অশুভ আঁতাতেরও অভিযোগ তোলেন।