নিজস্ব সংবাদদাতা : উনবিংশ শতাব্দীর অন্তিম লগ্ন। মারণ রোগ প্লেগের হানায় যখন উজাড় হয়ে যাচ্ছে তিলোত্তমার ফুটপাথ থেকে অলিগলি ঠিক সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নির্ভীক চিত্তে সাথীদের নিয়ে আর্ত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন বিশ্ববরেণ্য মহামানব স্বামী বিবেকানন্দ। শতাব্দী ঘুরে আবারও মহামারী এসেছে বাংলার দ্বারে।
একদিকে করোনার হাত বাঁচার লড়াই আর অন্যদিকে একমুঠো অন্নের তাগিদে হাহাকার। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে স্বামীজীর দেখানো পথ ও আদর্শকে সাথে নিয়ে মাঠে নেমে লক্ষ লক্ষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বামীজীর গড়া রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও জনহিতকর কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বেলুড় মঠ। করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ বেলুড় মঠ। কিন্তু, বুভুক্ষু, অসহায়,পীড়িত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এবার করোনা যুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করা ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অতিথিশালা খুলে দিল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, হাওড়ার বেলুড় মঠের অতিথিশালায় আপাতত টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালে কর্মরত ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী থাকছেন। সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে বহুক্ষেত্রেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়িতে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছিল। তাই প্রশাসনের তরফে মঠ কর্তৃপক্ষের কাছে অতিথিশালা ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়। অনুরোধের পরই মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে প্রশাসনের হাতে অতিথিশালার চাবি তুলে দেওয়া হয়। এভাবেই দুঃসময়ে মানবসেবায় ব্রতী হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের প্রিয় বেলুড় মঠ।