নিজস্ব সংবাদদাতা : চলে গেলেন বাগনানের স্বনামধন্য চিকিৎসক তথা গ্রামীণ হাওড়ার কল্যাণপুর (ভূতপূর্ব) বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল কুমার মিত্র। বুধবার দুপুরে বাগনানের কল্যাণপুর গ্রামের নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবালবৃদ্ধবনিতার পরমশ্রদ্ধেয় ‘নিমাই ডাক্তার’।
জানা গেছে, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯। উল্লেখ্য, ছোটো থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন সুনীল বাবু। ১৯৫৭ সালে কোলকাতার আর.জি কর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে হাওড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬৭ সালে হাওড়া জেলার কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্র গঠনকালে ওই কেন্দ্র থেকে বাংলা কংগ্রেসের হয়ে সুনীল বাবু জয়লাভ করে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
সরকার ভেঙে গেলে ১৯৬৯ সালে পুনরায় তিনি ওই কেন্দ্র থেকেই বাংলা কংগ্রেসের হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। যদিও পরবর্তী সময় সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে সুনীল মিত্র চিকিৎসক হিসাবে মানুষের সেবায় মনোনিবেশ করেন। চিকিৎসক হিসাবে আমতা, বাগনান, জয়পুর, ভাটোরা দ্বীপাঞ্চল সহ হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে তাঁর অভূতপূর্ব খ্যাতি ছিল। বহু দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা ‘নিমাই’ ডাক্তারের কাছে রোগ নিরাময়ের জন্য ছুটে আসতেন।
ডাক্তারবাবুও কাউকে ফেরাতেন না। আমৃত্যু এভাবেই মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন সুনীল কুমার মিত্র। শোনা যায়, ডাক্তার বাবু সকল রোগীকে একসাথে বসিয়ে তাদের সমস্যার কথা শুনতেন। সবশেষে একসাথে প্রেসক্রিপশন লিখতেন। তাঁর অভাবনীয় এই প্রতিভায় মুগ্ধ হতেন বহু দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা। সুনীল বাবুর মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে।
বুধবার তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে আসেন আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র, কল্যাণপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মিত্র, আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল সহ বহু মানুষ।