নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য সরকার বিভিন্ন অঞ্চলকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করার পরই চূড়ান্ত প্রশাসনিক ও পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে হাওড়া সদরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল রয়েছে। এর পাশাপাশি, গ্রামীণ হাওড়ার দু’একটি অঞ্চলও রয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত গ্রামীণ হাওড়ায় গুটিকয়েক মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে হাওড়া গ্রামীণ অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ আটকাতে কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে গ্রামীণ হাওড়া জেলা পুলিশ।
উলুবেড়িয়া, আমতা, বাগনান, পাঁচলা, জয়পুর, রাজাপুর, উদয়নারায়ণপুর, শ্যামপুর সহ বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে নাকা চেকিং। উলুবেড়িয়া ফ্লাইওভার, বাইপাস, আমতার দশনম্বর, সেহাগড়ী মোড়, যদুরবেড়িয়া, ঝিখিরা, উদয়নারায়ণপুর, আমতা – রাণীহাটি রোডের প্রবেশপথ সহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের কড়া নজরদারি চলছে। ওয়াকিটকির মাধ্যমে নির্দিষ্ট গাড়ির গতিবিধি পরবর্তী নাকা পয়েন্টে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে চিকিৎসকদের গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স ও ওষুধ বহনকারী বিভিন্ন গাড়িকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
কেউ কোনও ওষুধ কিনতে গেলেও পুলিশের পক্ষ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রতিটি গাড়ির নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট ড্রাইভারের ফোন নম্বরও সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। জানা গেছে,দু’চাকা হোক বা চার চাকা ধূলাগড়ি টোল পার হয়ে কোনও গাড়ি রানিহাটি মোড়ে পৌঁছনো মাত্রই দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই অংশ পার করে শহরের দিকে যেতে চাইলে জানতে চাওয়া হচ্ছে কী কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হাওড়া সদর বা কোলকাতায় যেতে চাইছেন। ওষুধের ক্ষেত্রেই কেবল ছাড় দেওয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রামীণ হাওড়া জুড়ে পুলিশ ও প্রশাসনের এহেন তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার বহু মানুষ।