নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ২৯ শে ডিসেম্বর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বাগনানের গৃহবধু ঋতুপর্ণা রায়চৌধুরীর। খুনের অভিযোগ জানিয়েছিল মৃত গৃহবধুর পরিবারের লোকজন। ঋতুপর্ণার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঋতুপর্ণার স্বামী ঋতুপর্ণার স্বামী সুমন্ত রায়কে গ্রেফতার করলেও বাকি অভিযুক্তরা এখনো পলাতক।
রবিবার সকালে মৃতার মা সহ এলাকার লোকজন বাকি অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে একটি মৌন মিছিল করেন। মিছিলটি গৃহবধুর এন ডি ব্লকের বাড়ি থেকে শুরু হয়ে ঋতুপর্ণার শ্বশুরবাড়ির শীতলপুর পর্যন্ত যায়। কয়েকশো এলাকাবাসী এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। গৃহবধুর মা রুমা রায়চৌধুরী বলেন মেয়েকে খুন করা হয়েছিল। স্বামী গ্রেফতার হলেও বাকিরা এখনো পলাতক।
তার দাবি ঘটনার দিন রাত ১১টা পর্যন্ত মেয়ের মোবাইল খোলা ছিল। ঋতুপর্ণার মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করলেই সমস্ত রহস্য উন্মোচন হবে। তার আরও অভিযোগ মেয়ের মৃত্যুর পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাগনানের কোন নার্সিংহোমে নিয়ে না গিয়ে অন্যত্র তাদের এক পরিচিতের নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিল।
সেই কারণেই আমাদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হচ্ছে। মিছিল থেকে বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য বছর ৬ আগে বাগনানের শীতলপুরের বাসিন্দা সুমন্ত রায়ের সঙ্গে ঋতুপর্নার বিয়ে হয়।
মেয়ের বাড়ির অভিযোগ বিয়ের সময় ছেলের বাড়ির দাবিমত যৌতুক দিলেও বিয়ের পর থেকে আরোও টাকার দাবিতে ঋতুপর্নার শশুরবাড়ির লোকেরা তার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করাত।
এমনকি মেয়ের সুখের জন্য ঋতুপর্নার বাড়ি থেকে সুমন্ত কে একটি ওষুধের দোকান ও করে দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের বাড়ির অভিযোগ গত ২৯ শে ডিসেম্বর দুপুরে সুমন্ত ফোনে জানায় ঋতুপর্না গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। যদিও তাদের দাবি ঋতুপর্নাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে তার শশুরবাড়ির লোকেরা।
এই ঘটনার পরেই ঋতুপর্নার পরিবার সুমন্ত সহ শশুরবাড়ির লোকেদর নামে বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনায় পুলিশ সুমন্তকে গ্রেফতার করেও বাকিরা পালিয়ে যায়। আর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বাকি অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় রবিবার এই মৌন মিছিল।