নিজস্ব সংবাদদাতা : উলুবেড়িয়ার নিমদিঘি ফুটবল মাঠের একটি এনআরসি, সিএএ ও এনপিআর বিরোধী সভা থেকে বিজেপি ও মিমকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা জামায়াতে উলেমায়ে হিন্দের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি হিন্দুদের দাদা ও মুসলমানদের ভাই সম্বোধন করে সম্প্রতি ও একে অপরের সহযোগিতার বার্তা দিলেন। তিনি বলেন আমরা মিম ও বিজেপির বিরোধী। খাল কেটে কুমির আনবেন না।
সেই কুমির আপনারই পা কাটবে। সমাজের পা কাটবে। ভারতবর্ষ সকলের দেশ। আমরা একা লড়াই করতে পারব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন সকলের সহায়তা নিয়ে আমরা বিজেপিকে রুখবো। মিমকে সহযোগিতা করলে বিজেপির শক্তি বেড়ে যাবে। তিনি আরও বলেন এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কোনো ছোট খাটো বিষয় নয়। এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
তিনি আরও বলেন একদিকে বিজেপি অন্যদিকে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি। ৫৬ ইঞ্চি ছাতি ও তার শাগরেদ শাহ যা খুশি করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে না পারলে বিপদ আরও বেড়ে যাবে। বিজেপি এই আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে। বিজেপি সমাজকে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর কাছে ঠেলে দিচ্ছে বলেও জানান সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তারা মাত্র ৩৭ শতাংশ লোকের ভোট তারা পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৬৩ শতাংশ লোক।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মূখ্যমন্ত্রীর দেখা করার স্বপক্ষে তিনি কথা বলেন। এবিষয়ে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন এটা প্রোটোকল, এটা শৃঙ্খলা। তিনি এদিন সমাজের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের উপর জোর দিয়েছেন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বেশি করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন হিন্দুরা সংখ্যাগুরু। তারা আমাদের দাদা। আমরা সংখ্যালঘু। আমরা তাদের ভাই। সকলে সহ্য করবেন, ধৈর্য ধরবেন, ভালোবাসা দেবেন। মাথা গরম করবেন না। মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন। দু চার জন হঠাৎ করে পথে নামলেন না। পুলিশের পার্মিশন নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে পথে নামবেন। এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন জঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। তিনি বলেন ভারতে সব ধর্মের মানুষের আত্মা যুক্ত হয়ে রয়েছে। ভয় পেয়েছে বিজেপি।
তিনিও এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মানুষের সচেতনতার উপর জোর দেন। প্রসঙ্গত এদিনই বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সম্পর্কে ফোল্ডার নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান। লোকদের হাতে সেই ফোল্ডার তুলে দেন। তিনি লোকেদের এই আইন সম্পর্কে বোঝান। সকালে তিনি উলুবেড়িয়া পরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় যান। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম মল্লিক, শিবশঙ্কর বেজ প্রমুখ। উলুবেড়িয়ার বিজেপির সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডলও বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান। প্রত্যুষ মন্ডল বলেন, এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।