নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রেমিকাকে ফিরে পেতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলো প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বাগনান থানার ঘোড়াঘাটার নবাসন এলাকায়। জানা গেছে বাগনানের পিপুল্যানের বাসিন্দা পেশায় কাগজ তৈরীর কারখানায় কর্মরত শিবনাথ রায়ের সাথে ৮ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাগনানের নবাসনের বাসিন্দা যুবতীর। কিছুদিন আগেই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছিল এই যুবতী। শিবনাথ তাকে বারেবারে বিবাহের প্রস্তাব দিলেও সে শিবনাথকে বিয়ে করতে রাজি হননি।
তারপরেই শনিবার বেলা এগারটা নাগাদ হাতে নানারকম পোষ্টার নিয়ে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে শিবনাথ। তার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হয় শিবনাথের পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা। সম্পর্কের প্রমাণ হিসাবে দুজনের এক সাথে ছবি ও প্রেমিকার লেখা চিঠি দেখিয়ে শিবনাথ জানান আট বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। দুই পরিবারের সকলেই সেটা মেনে নিয়েছিল। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াতও করতো তারা। কিন্তু সম্প্রতি প্রেমিকার দাদা এই সম্পর্ক নিয়ে বেঁকে বসে। কারণ হিসাবে জানায় যে শিবনাথ মাসে মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা রোজগার করে।
শিবনাথের দাবি প্রেমিকার দাদা তাকে বেশ কয়েকবার ফোনে হুমকি দিয়েছে, বোনের জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য। দাদার ভয়েই প্রেমিকা তার কাছ থেকে সরে গিয়েছে বলেও শিবনাথ জানায়। শিবনাথ আরো জানায় যতক্ষণ না প্রেমিকার সাথে তার বিয়ে দেওয়া হবে ততক্ষণ সে সেখানেই বসে থাকবে। শিবনাথের মা রূপা রায় বলেন ছোটো বেলা থেকেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। আমরা বুধবার রাতে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম কথাবার্তা বলতে। ওরা রাজি হয়নি। শুধুমাত্র দাদা ও বাবার ভয়ে মেয়ে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেনা।
প্রেমিকার মা বর্নালী দেঁড়ে বলেন মেয়ে যখন এই সম্পর্কে জড়ায় তখন সে ছোটো ছিল। এখন মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে সব কিছু বুঝতে শিখেছে। সে এখন কোনো ভাবেই এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে রাজি নয়। অন্যদিকে এই ধর্নায় বসার দৃশ্য শিবনাথের মোবাইল থেকে দফায় দফায় ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ভীড় জমায় প্রচুর উৎসুক মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গ্রামবাসীদের মধ্যস্থতায় সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে।