উলুবেড়িয়া পুরভোটের দামামা নির্বাচন কমিশনের, সংরক্ষণের গেরোয় বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : উলুবেড়িয়া পুরসভা নির্বাচনের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হল। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে হাওড়ার রিটার্নিং অফিসার তথা হাওড়ার জেলা শাসক মুক্তা আর্য এই তালিকা প্রকাশ করেন। দেখা যায় বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যানের আসন সংরক্ষণের আওতায় এসেছে। ওই দুটি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে মহিলা ও তফশিলী জাতির জন্য। বর্তমান চেয়ারম্যান সহ অন্য সব পদাধিকারীর আসন অপরিবর্তিত রয়েছে। বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সাবিরউদ্দিন মোল্লার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। আর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের অর্জুন সরকারের ২০ নম্বর ওয়ার্ডটি তফশিলী জাতির লোকেদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিজেপির জেতা আসনগুলোও অপরিবর্তিত রয়েছে। তৃণমূলের ও অন্য প্রায় সব আসনই একই রয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার পূর্বের ৩২টি আসনই রাখা হয়েছে। মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষিতও রেখেছে নির্বাচন কমিশন। তফশিলী জাতি ও সাধারণ মহিলাদের জন্য রাখা হয়েছে ১১টি আসন। সেগুলো হল ২, ৫, ৮, ৯, ১০, ১৩, ১৬, ১৯, ২৩, ২৬ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডগুলো। তফশিলী জাতির জন্য সংরক্ষিত রয়েছে চারটি ওয়ার্ড। সেগুলো হল ৮, ১০, ২০, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড। এর মধ্যে ৮ ও ১০ এই দুটি ওয়ার্ড তফশিলী জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তফশিলী উপ জাতির সংখ্যা কম থাকায় তাদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষণ করা হয়নি। খসড়া তালিকায় দেখা যায় চেয়ারম্যান অভয় দাসের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন খানের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড, জল দফতরের চেয়ারম্যান পারিষদ আকবর সেখের ৩২ নম্বর ওয়ার্ড, বিদ্যুৎ দফতরের চেয়ারম্যান পারিষদ সুরজিৎ দাসের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং শিক্ষা ও ক্রীড়া দফতরের চেয়ারম্যান পারিষদ রীতা ব্যানার্জীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডগুলো একই রয়েছে। এই তালিকা নিয়ে বাম ও বিজেপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। স্বাগত জানিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বামেদের তরফে পুরসভার বিরোধী দলনেতা সাবির উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে এই আসন সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করা হয়নি। কারন কোপ পড়েছে শুধু বিরোধী কয়েক জনের ওয়ার্ডে। শাসক দলের সব আসন অপরিবর্তিত থাকতে পারে কি করে। বিজেপির হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডল বলেছে আমাদেরও অভিযোগ রয়েছে এই তালিকা নিয়ে। আমরা এটা নিয়ে পর্যালোচনায় বসব। তারপর নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব। এই খসড়া তালিকাকে স্বাগত জানিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন নির্বাচন কমিশন তাদের নিয়ম অনুযায়ী খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। প্রসঙ্গত আসন বন্টনের খসড়া তালিকা নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে তা আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত জানানো যাবে বলে জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।