নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রবল ঠান্ডা। তাপমাত্রার পারদও হিমাঙ্কের বেশ কিছুটা নীচে। তার মাঝেই বঙ্গশীর্ষ সান্দাকফুতে গিয়ে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিলেন বাংলার একদল অভিযাত্রী। এই অভিযানে ৬ বছরের শিশু যেমন ছিল, তেমনই মাঝবয়সী যুবক-যুবতী এমনকি ৬৭ বছর বয়সী প্রৌঢ়ও অংশ নিয়েছিলেন।
সমগ্র অভিযানের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা শীর্ষ আরোহনকারী প্রখ্যাত বাঙালি পর্বতারোহী শেখ সাহাবুদ্দিন। দলে যেমন ছিলেন হাওড়ার অরুণ, তাপস, প্রসেনজিৎ কিমবা ইছাপুরের সৌরভ, আফরোজ, জয়রা তেমনই ছিলেন হুগলীর পুলক, রায়গঞ্জের চন্দ্রনারায়ণরা।
শেখ সাহাবুদ্দিন বলেন, “সান্দাকফু বাংলার গর্ব। সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানে রেডপান্ডা সহ একাধিক বিপন্নপ্রায় প্রজাতির বাস। তাই প্রতিবছর শীতকালে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বাঁচানোর বার্তা নিয়ে আমরা সান্দাকফু ট্রেকিংয়ের আয়োজন করি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে এবার এই অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন ২৬ জন। এছাড়াও সাথে ছিলেন দাওয়া, এনডি, নুরবুদের মতো এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘা শীর্ষে পা রাখা বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ শেরপা।”
তিনি আরও জানান, প্রতিবারের মতো এবারও আমরা চলার পথে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া পলিথিন, প্যাকেট কুড়িয়ে নিয়ে এসেছি। জানা গেছে, অভিযাত্রী দলটি এনজিপি থেকে গাড়িতে মানেভঞ্জন হয়ে চিত্রে পৌঁছায়। চিত্রে থেকে শুরু হয় ট্রেকিং। মেঘমা, টুমলিং হয়ে প্রথমদিন রাত্রিবাস করে গৈরিবাসে। তারপর দিন কালীপোখরি, ভিকেভঞ্জন হয়ে দলটি পৌঁছে যায় বঙ্গশীর্ষ সান্দাকফুতে।
সান্দাকফুতে দেশমাতৃকার ত্রিবর্ণ রঞ্জিত জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি একসুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সকল অভিযাত্রী। সান্দাকফু থেকে গুরদুম, শ্রীখোলা হয়ে দলটি ফের কোলকাতায় ফিরে আসে। অভিযানে অংশ নেওয়া হাওড়ার শুভঙ্কর মাইতি জানান, “এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রকৃতি ও পর্বতপ্রেমীদের উপস্থিতিতে এই অভিযান এক অন্য মাত্রা পেয়েছে।”