নিজস্ব সংবাদদাতা : লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছন্দা, শুভ, সোনালীদের ব্যবসা। অন্যান্য দোকান খুললেও এতোদিন সেলুন, পার্লার খোলার ছাড়পত্র মেলেনি। দীর্ঘ প্রায় দু’মাস কাজ বন্ধ থাকায় সংসার জুড়ে টান। অবশেষে খুলতে চলেছে সেলুন ও পার্লার। গতকাল বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করার পরই ক্ষৌরকার ও বিউটিশায়ন মহলে কিছুটা হলেও যেন স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাউরিয়ায় একটি পার্লার চালান ছন্দা ঘোষ। ছন্দা দেবীর কথায়, “আমার সংসারের পাশাপাশি আমার সহযোগীদের সংসারও পার্লারের উপর নির্ভরশীল। দু-মাস ব্যবসা বন্ধ থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ থাকায় চুল, দাড়ি কাটতে পারছেন না বহু মানুষই। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছেন তাঁরা। অনেকে তো আবার হিড়িকে মাথার চুল উড়িয়ে ন্যাড়াই হয়ে গেছেন। আমতার একটি সেলুনের ক্ষৌরকার শুভ দাসের কথায়, “বেশ কিছুদিন ধরেই বহু কাস্টমার ফোন করছেন। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দোকান খুলিনি। তবে এবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দোকান খুলব।” দীর্ঘদিন আয় বন্ধ থাকলেও দোকানভাড়া গুণতে হয়েছে। সময় মতো দিতে না পারায় মালিকের চোখরাঙানিও সহ্য করতে হয়েছে অনেককেই।
সেরকমই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন একটি পার্লারের মালিক সোনালী দাস মৈত্র। সোনালী জানান, “আমার দু’টি পার্লার। দু’টি দোকান ঘরই ভাড়ায় চলে। কিন্তু, দু-মাস আয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকায় ঘরভাড়া দিতে কিছুটা দেরী হওয়ায় বাড়ির মালিক আমার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন।” সোনালী দেবী আরও জানান, “গত দু-মাস পার্লার বন্ধ থাকায় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে এগিয়ে আসুক।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কিছুটা হলেও খুশির হাওয়া ক্ষৌরকার ও বিউটিশিয়ান মহলে। আগামীকাল পার্লার ঝাড়পোঁছ করে পরশু থেকেই ব্যবসা শুরু করবেন শুভ, ছন্দা, সোনালীরা।