নিজস্ব সংবাদদাতা : রক্তের সম্পর্ক না হলেও রক্তের মধ্য দিয়েই প্রবীণের সাথে নবীনের মেলবন্ধন ঘটল। এমনই অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল উলুবেড়িয়ার বিশ্বাস পরিবার। উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা বছর উনষাটের গীতা বিশ্বাসের হঠাৎই শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গীতা দেবীকে রক্ত দেওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে। AB+ পজিটিভের রক্তের খোঁজে হন্য হয়ে ঘুরতে শুরু করেন বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা গ্রামীণ হাওড়ায় রক্তদান নিয়ে নিরন্তরভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া রেজাউল করিমের দ্বারস্থ হন। রেজাউল বাবু দেরি না করে গীতাদেবীর জন্য দ্রুত রক্তের সন্ধানে নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন।
তা দেখেই সাথে সাথেই রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন উত্তর পাঁচলার বছর তিরিশের তরুণী সাবানা সুলতানা। সোমবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে তিনি গীতাদেবীকে রক্তদান করেন। রক্ত দেওয়ার পর সাবানা সুলতানা বলেন, “মুমূর্ষু গীতাদেবীকে রক্তদান করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।” রেজাউল বলেন, “ফেসবুকের মতো ভার্চুয়াল জগৎ থেকে আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুমূর্ষু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত।”