নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-২ ব্লকের ভুরগেড়িয়া।জাতীয় সড়ক ও হাওড়া-খড়গপুর শাখার রেললাইনের অদূরেই এই গ্রাম। গ্রাম বলতে বেশ কিছু ছোটোবড়ো বাড়ি আর বিঘার পর বিঘা জমি।
নাহ, ধানক্ষেত নাহ। বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে অবস্থান করছে নার্সারি। একটা বা দুটো নয় স্থানীয়দের মতে প্রায় পঞ্চাশটির কাছাকাছি ছোটবড়ো নার্সারি আছে গ্রামীণ হাওড়ার এই গ্রামে।
কোনো নার্সারিতে চাষ হচ্ছে ভেষজ গাছ, কোনোটিতে বা বিভিন্ন ফুল কিমবা বাহারি কিমবা ঘর সাজানোর বিভিন্ন চারাগাছ। নানা দেশীয় প্রজাতির গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন বিদেশী প্রজাতির গাছ চাষ হচ্ছে নার্সারিগুলিতে।
বিভিন্ন রকমের ঘাসও চাষ হচ্ছে। বেশিরভাগ গাছই এখান থেকে বাইরে চলে যায়।কোলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাক আসে। তাতেই রপ্তানি হয় নার্সারিতে চাষ হওয়া হাজারো প্রজাতির লক্ষাধিক গাছ।
সারাদিন ধরে পাইকারী ব্যবসায়ীদের পাইকারী পাশাপাশি গাছপ্রেমী মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে ওড়ফুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই গ্রামে। ভুরগেড়িয়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষই নার্সারি ও ফুল চাষের সাথে যুক্ত।
বাড়ির ছেলেদের পাশাপাশি মহিলারাও নার্সারিতে সমানভাবে দৈহিক পরিশ্রম করেন। গ্রামের যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই শুধু নার্সারি আর রকমারি ফুলের চাষ। শীতের সময়ে ভুরগেড়িয়া ফুলের শোভায় সুশোভিত হয়ে ওঠে।
যাঁরা গাছ ভালোবাসেন কিমবা বাড়িতে সবুজায়ন করতে ভালোবাসেন তাঁরা হাতে সময় নিয়ে ভুরগেড়িয়া গ্রামের নার্সারি গুলিতে ঘুরে যেতে পারেন। ক্ষীরাইকে ‘ফুলের গ্রাম’ হয় তাহলে ভুরগেড়িয়াকে হাওড়ার ‘নার্সারি গ্রাম’ হিসাবে আখ্যায়িত করলে অত্যুক্তি করা হবে না বলেই মনে হয়।