নিজস্ব সংবাদদাতা : শুভেন্দু অধিকারীর মতোই রাজ্যের আরেক ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। রাজীবের সাথে দলের দূরত্ব ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজীব দলে থাকবেন নাকি শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করবেন সেই নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে তখনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য করে বসলেন গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক গুলসান মল্লিক।
বুধবার গুলসান মল্লিক বলেন, “রাজীব ব্যানার্জী দল থেকে চলে যাবে যেমন শুভেন্দু অধিকারী আজকে বিধায়ক পদ থেকেও রিজাইন দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে পাঁচলা বিধানসভার পানিয়াড়া থেকে বাংলো মোড় অব্ধি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে কোনো দলীয় প্রতীক ছাড়াই তাঁর ছবি দিয়ে ‘দাদার অনুগামী’দের তরফে লাগানো অসংখ্য ফ্লেক্স চোখে পড়ে। কোনোটায় লেখা ‘সকলের সাথে মানুষের পাশে’ আবার কোনোটায় ‘আমার ভিতর বাহির অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে’ বা ‘আমার দাদা একাই একশো’। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এই ফ্লেক্স লাগানোর বিষয় নিয়ে গুলসান মল্লিককে প্রশ্ন করা হলে
তিনি বলেন, “রাজীব ব্যানার্জী এখনো দলে আছেন। অতএব দলের শীর্ষ নেতারা তার জবাব দেবে। আমি এই সম্পর্কে আর কোনো মন্তব্য করতে চাইনা।” তারপরই তিনি বলেন, “রাজীব ব্যানার্জী দল থেকে চলে যাবে যেমন শুভেন্দু অধিকারী আজকে বিধায়ক পদ থেকে রিজাইন দিয়েছে। যাঁরা মমতা ব্যানার্জীর সাথে থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, নেতা হয়েছে তারাই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।”
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রঞ্জন পাল বলেন, “হিন্দু-মুসলিম সকলে তৃণমূলকে ঝেঁটিয়ে বিদায় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই বছরের বিদায়লগ্নে তৃণমূলের কত বিদায় ঘটবে, বিসর্জন হবে শুধু দেখতে থাকুন।”