নিজস্ব সংবাদদাতা : নির্বাচনী ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ইতিমধ্যেই বাংলাজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাশাপাশি, জাতীয় রাজনীতিতেও সাড়া ফেলেছে এই প্রকল্প। এবার পুজোয় সেই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটালো গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-১ ব্লকের ভূঁয়েড়া তরুণ সংঘ৷ ৫৮ তম বর্ষে তাদের ভাবনা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। ভূঁয়েড়া শীতলাতলায় দোতলা মাটির বাড়ির আদলে গড়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ। বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাঁড়। ভাঁড়ের উপর লাগানো হয়েছে প্রতীকী পাঁচশো টাকার নোট। মন্ডপে একাধিক মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। মাটির বাড়ির দালানে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ফর্ম নিয়ে বসেছেন কয়েকজন কর্মী। আর তা পূরণ করতে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিলারা আসছেন। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
এভাবেই শৈল্পিক ভাবনার মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পকে বাগনানের ভূঁয়েড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। মন্ডপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সামগ্রী। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে মেদিনীপুরের সবং থেকে আনা বেত, তেমনই রয়েছে মাটি, খড়, চটের মতো বিভিন্ন সামগ্রী। ভূঁয়েড়া তরুণ সংঘের সম্পাদক অভিজিৎ সাউ জানান, এবার তাদের অন্য প্যান্ডেল করার ভাবনা ছিল। কিন্তু গত আগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প গ্রাম বাংলায় এতোটাই সাড়া জাগিয়েছে যে তখনই তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারকে থিম রূপে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন। বাজেট প্রায় দু-লক্ষ টাকা। তারপর একমাস ধরে শিল্পী অসীম সামন্ত ও তাঁর সহযোগীরা মিলে এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমরা থিমের পুজো করেছি। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা জানতে পেরে এতো মানুষ এই পুজো দেখতে আসছেন যা আগে কখনো আসেনি। পুজোর পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষকে বস্ত্রদান, পত্রিকা প্রকাশের মতো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এই সংগঠন। তবে ভূঁয়েড়া গ্রামের এই পুজো যে দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে নজর কেড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।