নিজস্ব সংবাদদাতা : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে প্রচার এবার বিয়ের অনুষ্ঠানে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে প্লাকার্ড হাতে নিয়ে শ্যামপুরের বর কনে বসলেন বৌভাতের অনুষ্ঠানে। প্লাকার্ডে লেখা “আমার মাটি আমার দেশ, মানবো না কোন অনুপ্রবেশ”।
বরের বাড়ির লোকজনের বক্তব্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে লোকেদের সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই তাদের এই উদ্যোগ। সেই কারণেই তারা বিয়েবাড়ির মতো এই সামাজিক অনুষ্ঠানকে কাজ লাগিয়েছেন। সোমবার রাতে শ্যামপুরের বাসিন্দা সমীর শাসমলের পুত্র সুবীর শাসমলের বৌভাতের অনুষ্ঠানে এমনই ব্যবস্থাপনা ছিল।
শ্যামপুরের বানেশ্বরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোলাপাড়ার বাসিন্দা সুবীর শাসমলের রবিবার বিয়ে হয় শ্যামপুরেরই রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা দেবিকা শাসমলের সঙ্গে। সোমবার রাতে ছিল বৌভাতের অনুষ্ঠান।কলকাতার আর্মহাস স্ট্রিটে অনুষ্ঠানের কার্ড তৈরির ব্যবসা রয়েছে সুবীরের। বৌভাতের ওই অনুষ্ঠানে দেখা গেল নব দম্পতি হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন আমার মাটি আমার দেশ মানবো নাকো অনুপ্রবেশ লেখা প্লাকার্ড।
অভ্যর্থনা মঞ্চে নব দম্পতি ছাড়াও অনেকেই সেই প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বসে রয়েছেন। অনেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে জিজ্ঞাসাা করলে তারা এই আইন বুঝিয়ে দিচ্ছেন অভ্যাগতদের। তবে শুধু অভ্যর্থনা মঞ্চেই নয়, অতিথিদের খাবারের টেবিলে দেওয়া মেনুকার্ড ও জলের বোতলের ব্যাগেও ওই কথা লেখা রয়েছে। নব বিবাহিতদের হাতে উপহার তুলে দিতে এসে এই প্লাকার্ড দেখে অবাক হয়েছেন নিমন্ত্রিতরা। কেউ কেউ আবার সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বাড়ির কর্তা সুবীরের বাবা সমীর শাসমল জানান সিএএ অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। এর মাধ্যমে অনেক মানুষ নাগরিকত্ব পাবে। তাই এই আইনকে সমর্থন জানাতেই আমারা এই উদ্যোগ নিয়েছি। একই কথা জানিয়েছেন নব দম্পতি সুবীর ও দেবিকা। বিয়ে বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন অভ্যাগতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে এগারোশো। বৌভাতের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন শান্তনুকুমার সাহু, দেবযানী পাত্ররা। শান্তনুবাবু বলেন, এই আইন দেশের জন্য হিতকর। শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এই আইনের মাধ্যমে। কেন্দ্র সরকারের এই মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।
পাশাপাশি সেই আইন নিয়ে যে যা ইচ্ছা বলে চলেছে। তাই এই আইনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা কমাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বিয়ে বাড়ির কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিয়েছে সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। দেবযানী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিশেষ কিছু জানতাম না। এখানে এসে সেটা জানলাম। বেশ ভালো লেগেছে।