নিজস্ব সংবাদদাতা : ঠিক একবছর আগে আম্ফানের দানবীয় তান্ডবের স্মৃতি এখনো টাটকা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী বুধবারই খুব সম্ভবত পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্নিঝড় ‘ইয়াস’।
ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই হাওড়া, কোলকাতা, হুগলি, দক্ষিন ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে আগাম প্রস্ততি শুরু হয়েছে। হাওড়া গ্রামীন জেলার একাধিক ব্লকে ঘূর্নিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন প্রশাসনিক কর্তারা। শনিবার রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়ের উপস্থিতিতে উলুবেড়িয়া পুরসভায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক অরিন্দম বিশ্বাস, উলুবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক অভয় দাস, পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের একাধিক সদস্য। উলুবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে খবর, এদিনের এই বৈঠকে ঘূর্নিঝড়ের সমস্ত দিক বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষত, গত বছর আম্ফানের দূর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে শনিবারের এই বৈঠক থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, দুর্যোগ মোকাবিলায় উলুবেড়িয়া পুরসভায় ২৪ ঘন্টার একটি কন্ট্রোল রুম খোলার পাশাপাশি ১৩ জনের একটি বিশেষ টিম তৈরী করা হয়েছে যারা সমস্ত বিষয়টি নজর রাখবেন। এছাড়াও বিদ্যুৎ, পানীয় জল, স্বাস্থ্য সহ একাধিক বিভাগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুরসভার সমস্ত বিভাগের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। আমরা সবসময় মানুষের পাশে আছি। এবিষয়ে উলুবেড়িয়া পৌরসভার প্রশাসক অভয় দাস জানান, আম্ফানের কথা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুত আছি।
পৌরসভার ১১ জন সুপারভাইজারকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের জন্য বেশ কিছু বিদ্যালয়কে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ঘূর্নিঝড়ের সর্তকতায় উলুবেড়িয়া পুর এলাকার পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এদিন শ্যামপুর-২ নং ব্লক অফিস, উদয়নারায়ণপুর ব্লক, আমতা-১ ও ২ নং ব্লকে অফিসেও ঘূর্নিঝড় নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।