ফুল ফোটানোর আনন্দে দৃষ্টিনন্দন সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠে পায়েল,সৌরদীপ,সূর্যরা

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Updated on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : পায়েল,সূর্য,তামান্নারা কেউ টবে মাটি খুঁড়ছে,কেউ জল দিচ্ছে কেউবা আবার সার তৈরিতে ব্যস্ত।বিদ্যালয়ের ছাদজুড়ে সারি সারি মাটির টব।সেখানে বেড়ে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির রঙবেরঙের ফুল।আর সেইসব ফুলের উজ্জ্বলচ্ছটায় প্রাঞ্জল হয়ে উঠেছে বিদ্যালয় চত্বর।

শীতের মরসুমে বিদ্যালয়ের ছাদে এমনই দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান গড়ে তুলেছে আমতা-১ ব্লকের সোনামুই ফতে সিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।বাগানে প্রায় ১৫০ টি টবে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা,চন্দ্রমল্লিকা,ডালিয়া,পিটুনিয়া সহ শীতকালীন বিভিন্ন বর্ণময় ফুল শোভাবর্ধন করছে।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,বেশ কয়েক বছর ধরে প্রধানত ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহেই এধরণের অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

তার সাথে এগিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ আব্দুর রহিম,রাজকুমার নস্কর সহ অন্যান্যরা। প্রধান শিক্ষক দয়াময় ভট্টাচার্য বলেন,”সারাবছরই পড়ুয়াদের মধ্যে সবুজ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।তারই অঙ্গস্বরূপ এই উদ্যোগ।এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা নিজে হাতে শিশুস্নেহে গাছকে বড়ো করে তোলে এবং ফুল ফোটায়। ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবুজের আত্মিক বন্ধন গড়ে ওঠে।

“তিনি আরও বলেন,বিদ্যালয়ে সঞ্চিত হওয়া বিভিন্ন পুরোনো অপ্রয়োজনীয় কাগজ বিক্রি করে এই বাগান পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের জোগান দেওয়া হয়।কৃত্রিম রাসায়নিক সারের পরিবর্তে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রছাত্রীরাই গোবর থেকে তৈরি করে খোল।সেই খোল দেওয়া হয় গাছের পরিচর্যায়।

বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই বাগান গড়ে তুলছেন রসায়নের শিক্ষক রাজকুমার নস্কর।তাঁর কথায়,একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা এব্যাপারে অত্যন্ত উৎসাহের সাথে এগিয়ে আসে।প্রত্যেকদিন টিফিন হলেই নিয়ম করে হাজির হয় ছাদে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে এহেন সুন্দর বাগান গড়ে তুলেছে।তিনি আরও জানান,এবছর বাগান পরিচর্যায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ২২০০ টাকা খরচ হয়েছে।

গ্রামীণ হাওড়া এই প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে ওঠা নয়নাভিরাম ফুলের বাগান ঘুরে দেখেন আমতা-১ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক লোকনাথ সরকার।তাঁর হাতে একটি ফুল গাছ তুলে দেওয়া হয়।এছাড়াও,ফুলের টানে প্রায় সারা শীতকাল জুড়ে ভিড় জমান বহু প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী।গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সুদীপ দাসের কথায়,ফুল ফোঁটানোর যে আনন্দ তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।