উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলো রুগির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে

By নিজস্ব সংবাদদাতা

Published on:

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুগীকে হাসপাতাল থেকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছুটি করাকে কেন্দ্র করে বচসা। তার পরেই বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলো রুগির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ।  ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া থানা এলাকায় ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । জানা গেছে গত শনিবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে ফুলেশ্বরের একটি  বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার বহিরা আলিপুকুর এলাকার বাসিন্দা চুয়ান্ন বছর বয়সের রুসিয়া বেগম। রুগির আত্মীয়দের অভিযোগ   হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না।  তাই  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেছিলেন রুগীর আত্মীয়রা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিতে গড়িমসি করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়। কোন ভাঙচুর হয়নি।

রুগির ছেলে জাভেদ মল্লিক বলেন বৃহস্পতিবার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়। মাকে উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করি। আমরা  গরিব মানুষ নার্সিংহোমে লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতিদিন বিল বেড়ে যাচ্ছিল। তাই খরচ জোগাতে পারছিলাম না। শনিবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। জাভেদ মল্লিকের অভিযোগ ফুলেশ্বরে ওই হাসপাতালে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছিলনা। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আবেদন করে ছিলাম নিজেদের দায়িত্বে মাকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাবো। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিতে গড়িমসি করছিল। পরে ছুটি করে নিয়ে উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করি। ভাঙচুর ও মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি।

হাসপাতালের চিকিৎসক শুভাশিস মিত্র বলেন উলুবেড়িয়ার কিছু  অসাধু  স্বাস্থ্য  ব্যবসায়ী আমাদের হাসপাতালের নামে বদনাম করার জন্য সামান্য অজুহাতে কিছু দুষ্কৃতীদের দিয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় ।  উলুবেড়িয়ার বহির আলিপুকুর থেকে একটি প্রৌঢ়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করে। আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অধীনে ভর্তি করি। শুভাশিসবাবু আরো বলেন উলুবেড়িয়ার বেশকিছু  বেসরকারি নার্সিংহোমে  সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ডে মেডিসিন বিভাগের  চিকিৎসা করেনি। তারা গরিব মানুষের কাছ থেকে অমূলক ভাবে টাকা নিচ্ছে। আমরা সমস্ত চিকিৎসাই সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ডে চিকিৎসা করি । এতে গরিব মানুষের উপকার হয়। কিন্তু কিছু অসাধু স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীর এতে অসুবিধা হচ্ছে । তাই রুগির আত্মীয়দের ভুল বুঝিয়ে অযথা হামলা চালিয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।