নিজস্ব সংবাদদাতা : লকডাউনের মাঝেও করোনা মোকাবিলায় কার্যত দিনরাত এক করে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন ডাক্তার, নার্স সহ স্বাস্থ্য ও আশাকর্মীরা। তাদের জন্যই সঠিক সুরক্ষার বন্দোবস্ত নেই – এই গুরুতর অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে সামিল হলেন উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল ও উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নার্সরা। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার বেশ কিছু নার্স বিভিন্ন দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান।
তাঁদের দাবি ছিল প্রত্যেকের যাতায়াতের জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা, নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। তার সাথে পি.পি.ই চালু করার দাবিও তোলেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্ত্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে সেদিনের বিক্ষোভ তুলে নেন বিক্ষুব্ধ নার্সেরা। মাঝে চারদিন কেটে গেলেও কোনো দাবিই মানা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে আবারও সহকারী সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামীণ হাওড়ার এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের নার্সরা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কোনো কর্ণপাতই করছে না।
কার্যত তাদের প্রাণ নিয়ে খেলা চলছে। এব্যাপারে হাসপাতাল সুপার সুদীপ রঞ্জন কাঁড়ারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো উত্তর মেলেনি। নার্সদের পাশাপাশি, হাসপাতালে কর্মরত বেসরকারি কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখান দিন কয়েক আগে। তাঁদের অভিযোগ, তাদের কোম্পানি দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ধরে বেতন দিচ্ছেনা। তা সত্ত্বেও দিনরাত ডিউটি করে চলেছেন তাঁরা। তাই এই জরুরি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দপ্তর তাদের বেতনের ব্যবস্থা করুক।হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড, কোয়ারান্টাইন সেন্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড থাকা সত্ত্বেও খোদ নার্সদের জন্যই নেই সঠিক সুরক্ষাব্যবস্থা।