নিজস্ব সংবাদদাতা : ক্রমশ রূপ আর গতিপথ পরিবর্তন করছে অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট অনুযায়ী, বাঙালির প্রিয় দীঘার বুকে ‘আম্ফান’এর আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। আছড়ে পড়ার স্থান বদল হয়েছে। উল্লেখ্য, এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার কথা ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সাগরদ্বীপ অঞ্চলে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্থান পরিবর্তন করে সাইক্লোনের নয়া টার্গেট এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা উপকূলবর্তী এলাকা।
ইতিমধ্যেই, রাজ্যের সমস্ত উপকূলে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সাইক্লোন দিক পরিবর্তন করে যে কোনও সময়ে অন্যস্থানে আছড়ে পড়তে পারে। তাই রাজ্যের সমস্ত উপকূলে জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাইক্লোনটি ক্রমে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে আসবে। তারপর উত্তর পশ্চিম দিক বরাবর এগিয়ে গিয়ে এটি দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের উপর দিয়ে বয়ে যাবে।
২০ শে মে বিকালে এই ঘটনা ঘটবে। তখনই এর গতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আছড়ে পড়ার সময় ঘূর্ণিঝড়ে গতি সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার হবে। এর প্রাথমিক গতি হবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হতে পারে মঙ্গলবারই। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
করোনার মাঝেই ‘আম্ফান’এর করাল আঘাত রুখতে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের তরফে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে উপকূলবর্তী জেলাগুলির সাথে। উপকূলবর্তী এলাকার স্কুল, কলেজগুলিতেও যাতে দুর্যোগ নামার আগেই বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা যায় সেব্যাপারেও তৎপর স্থানীয় প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা, শংকরপুর, তাজপুর সহ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। করোনার মাঝে আম্ফানের চোখ রাঙানিতে ক্রমশ বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা।