ড. সৌরভ দোয়ারী : দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো পার হওয়া মানেই দীপাবলির প্রহরগোনা শুরু। আদপে আলোর উৎসব হলেও দীপাবলিতে সবচেয়ে বড়ো চিন্তার কারণ শব্দদূষণ। মানুষ থেকে পরিযায়ী পাখি সবার চিন্তাতেই শব্দদানব। শব্দদূষণ আমাদের দেশের এক পরিচিত সমস্যা। তা কখনও আসে ডিজে সাউন্ড সিস্টেমের হাত ধরে তো কখনও আসে নিষিদ্ধ শব্দবাজির মাধ্যমে। এখন ডিজের দাপট সারাবছর কমবেশি হলেও উৎসবের মরসুমে এই দানবের দাপট ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। শব্দদূষণে মানুষের বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের সমস্যা প্রশ্নাতীত। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে শব্দদূষণ। এতে চিন্তায় নাগরিক সমাজ থেকে পরিবেশকর্মী সকলেই।
পরিবেশকর্মীদের চিন্তার বিষয় আরো বিস্তৃত। সাধারণত এই সময়ই বাংলার সমতলে এসে হাজির হয় বিদেশের শীতকালীন পরিযায়ী পাখিরা। দেখা গেছে, শব্দদূষণের প্রভাব পরিযায়ী পাখিদের উপর ব্যাপকভাবে পড়ে। অতীতে দেখা গেছে কোথাও খুব বেশি বিরক্ত হলে এরা সেখানে আসাই ছেড়ে দেয়। তাই কোথাও এদের উপস্থিতি দেখে সেই জায়গার পরিবেশের একটা পরোক্ষ ধারণা লাভ করা যায়।
ডিজে ও শব্দবাজির দাপট বাড়লে তা মানুষের সাথে সাথে এই সব পরিযায়ী পাখিদের উপর কীরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে তা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশকর্মীরা।পরিবেশকর্মীদের মতে, বিভিন্ন সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে এই ধরনের দূষণ থেকে নিজেদের দূরে রাখুক। বিশেষ করে এই অতিমারীর সময়ে অন্যের কষ্টের কারন হতে চাইবেন না কেউ-ই এটা আশা করাই যায়। তাই শব্দবাজি কিমবা ডিজে নয়; আসন্ন দীপাবলি হয়ে উঠুক আলোকময়।