নিজস্ব সংবাদদাতা : কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠাল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার শ্যামপুর থানার গোপীনাথপুর গ্রামে। সূত্রের খবর, নাকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর গ্রামে রূপনারায়ণ নদের তীরে একটি ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাস করেন পেশায় মৎসজীবী ঝড়ু হাজরা।
জানা গেছে, ঝড়ু হাজারার মেয়ে বছর দশেকের অনীতা গত শনিবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে তার চিকিৎসা চলছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অনিতার মা মেয়েকে স্বামীর কাছে রেখে জল আনতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন স্বামী মেয়ের মাথায় জলপটি দিচ্ছে। অনিতার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মৃত বলে জানান।
সোমবার সকালে রূপনারায়ণের চরে বছর দশেকের এই কন্যা সন্তানের মৃতদেহটিকে তার পরিবারের লোকজন কবর দিয়ে দেয়। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার শ্যামপুর থানার পুলিশ শ্যামপুর-২ ব্লকের বিডিও সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে অনিতার দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতেই মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।এর পাশাপাশি, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ।