নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতোই গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মহকুমা শহর উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গাতেও সংক্রমণ বাড়ছে।ইতিমধ্যেই সংক্রমণ রুখতে দোকানপাট খুলে রাখার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে উলুবেড়িয়া পৌরসভা। বিভিন্ন এলাকায় চলছে মাইকিং।এর পাশাপাশি,আরও বেশি সংখ্যক মানুষের লালারস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাউরিয়া এলাকায় একটি লালারস কালেকশন সেন্টার করল উলুবেড়িয়া পৌরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, বাউরিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে লালারস সংগ্রহটি খোলা হয়েছে। এখানে মূলত উলুবেড়িয়া পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নমুনা করা হবে।
পুর কর্তাদের আশা, এই নয়া লালারস সংগ্রহ কেন্দ্রটির জেরে উপকৃত হবেন উলুবেড়িয়া সংলগ্ন এই অঞ্চলের বহু মানুষ। দ্রুত অধিক সংখ্যক মানুষের করোনা টেস্ট করানো সম্ভব হবে। কারুর দেহে করোনার সন্ধান মিললে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরসভার কর্তাদের আশা, এই পদ্ধতিতে বাউরিয়া এলাকায় করোনার সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারা সম্ভব হবে। এতোদিন উলুবেড়িয়া পুর এলাকার বাসিন্দাদের লালারস সংগ্রহের ক্ষেত্রে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাওড়া জেলা সংক্রমণের ক্ষেত্রে একদম প্রাথমিক লগ্ন থেকেই রাজ্যের প্রথম সারিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পৌরসভা এলাকায় শতাধিক লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে অর্ধেকেরও বেশি লোক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদের মধ্যে উলুবেড়িয়া পৌরসভা ৫, ৯ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড করোনার প্রকোপ বেশি বলে জানা গেছে। তবে প্রায় সব ওয়ার্ডেই করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার এক কর্তা জানান, বেশি সংখ্যক লোকের লালা রস সংগ্রহের পাশাপাশি আরও বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। সাধারণভাবে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছু লোককে হোম কোয়ারান্টিনে রাখা বা আক্রান্তদের আক্রান্তের পরিবারেও হোম কোরানটাইনে রাখার। কিন্তু, বাউরিয়া এলাকায় করোনাকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে করোনা আক্রান্তের পরিবারকে হোম কোরানটাইনের বদলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠাচ্ছে পৌরসভা। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন অঞ্চল নিয়মিত স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে বলেও পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।