নিজস্ব সংবাদদাতা : আসন্ন একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে রাজ্যের শাসকদল। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির পাশাপাশি গত ২ রা মার্চ নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর উপস্থিতিতে ৭৫ দিনব্যাপী বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা ঘটে। এই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে বিভিন্ন বিধায়ক ও ব্লক স্তরের নেতৃবৃন্দ। ‘বাংলার গর্ব মমতা’ শীর্ষক কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে জেলার সাংবাদিকদের সাথে বিশেষ আলাপচারিতায় মিলিত হচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী-বিধায়ক, যার আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘জলযোগে যোগাযোগ’।
দলের নির্দেশ অনুযায়ী সপ্তাহান্তের সন্ধ্যায় গ্রামীণ হাওড়ার সাংবাদিকদের সাথে আমতার তৃণমূল কার্যালয়ে এক ‘জলযোগে যোগাযোগ’ মিলিত হলেন রাজ্যর মন্ত্রী তথা উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি। জেলার ২০-২২ জন সাংবাদিকের সাথে সান্ধ্যকালীন আড্ডায় নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন স্বয়ং মন্ত্রী।নির্মল মাজি বলেন, “ইতিমধ্যেই আমতা গ্রামীণ হাসপাতালকে মাল্টিসুপার স্পেশালিটি হাসাপাতালে উন্নীতকরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। বেডসংখ্যা হবে প্রায় ৩০০।থাকবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম।
“তিনি আরও জানান, “ইতিমধ্যেই ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আমতা-১ ও উলুবেড়িয়া-২ ব্লকে দু’টি অত্যাধুনিকমানের অডিটোরিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত আমতা-১ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে পানীয় জল। “তুলসীবেড়িয়ায় অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাল তৈরি হবে বলেও মন্ত্রী জানান। কার্যত খোলামেলা এক আলোচনা চক্রে পরিণত হয় এদিনের ‘জলযোগে যোগাযোগ’ কর্মসূচি। ঘরোয়া পরিবেশে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর খোলামেলা আলাপচারিতায় এদিন বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নানা বাধা সরিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সূত্রও বেরিয়ে আসে।