নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই বাংলায় তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এবার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’এর ছোঁয়া উলুবেড়িয়ার পুজোয়। উলুবেড়িয়ার পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের কাটিলার আশা ভবন সেন্টারের দুর্গোৎসব। সেখানেই এবার শৈল্পিক ভাবনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’কে। শনিবার চতুর্থীর সন্ধ্যায় সেই পুজোরই সূচনা করলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। পুজোর আমন্ত্রণ পত্র থেকে মন্ডপ সব জায়গাতেই রয়েছে থিমের ছোঁয়া। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
উল্লেখ্য, আশা ভবন সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। এখানকার আবাসিকরাই নিজেরা নিজেদের শৈল্পিক ভাবনাকে বিভিন্নভাবে ফুটিয়ে তোলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আশা ভবন সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এবার কাঠের তৈরি ছোটো সুদৃশ্য গাছ কৌটের মাধ্যমে আমন্ত্রণপত্র বানানো হয়েছে। যাতে রয়েছে আবাসিকদের হাতে আঁকা দুর্গার মুখের ছবি। পাইন কাঠকে সাইজ করে কেটে তৈরি হয়েছে গাছ কৌটো। শুধু গাছ কৌটো নয়, মন্ডপ সাজাতে মন্টু, সাবিনারা তৈরি করেছেন প্রকান্ড সাইজের একটি পেঁচা। তৈরি করা হয়েছ অজস্র লক্ষীর ভাঁড়। যা দিয়ে সমগ্র মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গোটা মন্ডপ তৈরি হয়েছে লক্ষীর ভাঁড়ের আদলে।
আশা ভবন সেন্টারের ডিরেক্টর, আবাসিকদের হাতে তৈরি তিন ফুট লম্বা একটি গাছ লক্ষীর ভাঁড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার হিসেবে পাঠানো হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পুলক রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ, আমতার বিধায়ক সুকান্ত কুমার পাল, বিধায়ক নির্মল মাজি, বিধায়ক বিদেশ বসু, হাওড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাবেরী দাস, উলুবেড়িয়ার পুরপ্রশাসক অভয় দাস সহ অন্যান্যরা। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন আশাভবনের আবাসিকরা।