নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ঐতিহ্যশালী রথের রশিতেও এবার টান পড়েনি। পূজাচারেই সীমাবদ্ধ থেকেছে এবারের রথযাত্রা। তবে রথযাত্রার পুণ্যতিথিতে শহরের রাজপথে যাত্রা শুরু করল আরেক রথ, যার নাম ‘মানবরথ’। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও মানবিক এই উদ্যোগ গ্রহণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান এবং তাঁর পুত্র পুরসভার কো-অর্ডিনেটর ফাইয়াজ খান। দীর্ঘ লকডাউনের পর মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু রাস্তায় দেখা নেই পর্যাপ্ত বাসের। অফিসে যাওয়া আসা মানুষজন, অসুস্থ বৃদ্ধ মহিলা, শিশু পথে বেরিয়ে কার্যত বিপর্যস্ত। বাসের দেখা নেই? প্রাইভেট গাড়ি,ট্যাক্সি করে যাওয়া-আসার সামর্থ্য তো সবার নেই। তাই যখন জগন্নাথের রথ বন্ধ তখন চালু হচ্ছে মানুষের জন্য রথ। নাম ‘মানব রথ’।
জানা গেছে, দশটি অটো কাজের সময় হাজির থাকবে স্ট্যান্ডে। এগুলোই রথ । আর এই দশটি রথে বিনামূল্যে বিপর্যস্ত মানুষ পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। সেই রথের দড়িতে টান পড়েছে দেবরূপী জাভেদ খানের হাতে। মনে মানে ফ্ল্যাগ অফ। আজ থেকে মানব রথ চলছে গরগড়িয়ে। আনলক পরিস্থিতিতে খুলে গিয়েছে অফিস-কাছারি। ফলে, শনি-রবি কিংবা ছুটির দিন ছাড়া প্রায় রোজই মানুষজনকে বাইরে বেরোতে হচ্ছে। এর মধ্যে রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস না থাকায় ভুগতে হচ্ছে আম আদমিকে। এই অবস্থায় মানুষজনকে নিত্য ভোগান্তির হাত থেকে কিছুটা সুরাহা দিতে অটোর বন্দোবস্ত করেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “নিজের বিধানসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য দশ দিনে বিনামূল্যে ৬ হাজার অটো পরিষেবা দেওয়া হবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ববোধন করা হয়েছে।
অটো পরিষেবা নাম দেওয়া হয়েছে ‘মানব রথ’। পাশাপাশি রাজ্য করোনা পরিস্থিতির মাঝে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে।” জিন মসজিদ থেকে পার্ক সার্কাস ও ডলফিন মোড় থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য থাকছে ২ টি করে অটো। সাতগাছি থেকে পদ্মপুকুর ও গুলশান কলোনি থেকে টিআরএ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বরাদ্দ ৩ টি করে অটো। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রী ও তাঁর পুত্রের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।