নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘ লকডাউনে স্বামী আটকে রানীগঞ্জে। ফুরিয়েছে নগদ অর্থ। কোনোরকমে রেশনের চালে দিন কাটলেও ৯ মাসের দু’ই যমজ সন্তানকে নিয়ে অত্যন্ত সমস্যায় পড়েছেন তনুশ্রী। টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না বাচ্চাদের দুধ। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এভাবেই কোনোরকমে দিন কাটছিল উদয়নারায়ণপুর ব্লকের রামপুর – ডিহিভুরশুট – আসন্ডা পঞ্চায়েত এলাকার গৃহবধূ তনুশ্রী মাইতির। এক সাংবাদিকের কাছ থেকে এই খবর পেয়েই তৎক্ষনাৎ গৃহবধূর পাশে দাঁড়াতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক।
সমীর বাবুকে দেখে স্বভাবতই চমকে যান তনুশ্রী দেবী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বিধায়ক কার্যত ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছোট্ট শিশুর জন্য মা’য়ের হাতে তুলে দেন পর্যাপ্ত দুধ, মধু সহ অন্যান্য সামগ্রী। এতেই থেমে থাকেননি সমীর বাবু। নিজের ফোন নাম্বার ওই গৃহবধূকে দিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলেন। এহেন ঘটনায় হতবাক তনুশ্রী চোখে আনন্দাশ্রু নিয়ে বলেন, “স্বামী রানীগঞ্জে একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করেন। লকডাউনের জেরে উনি সেখানে দীর্ঘদিন আটকে। রেশনের চালে কোনোরকমে অন্ন সংস্থান হলেও ন’মাসের শিশুর দুধ কেনার মতো অর্থ আর আমার কাছে ছিলনা। আজ এই দুঃসময়ে বিধায়ক এভাবে আমার যমজ সন্তানের পাশে এসে দাঁড়াবেন তা কখনো ভাবিনি। আমি ও আমার পরিবার ওনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।” সমীর বাবুর এই মানবিক কর্মকান্ডকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।