নিজস্ব সংবাদদাতা : চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজো, বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পূজো বা বারাসাতের কালিপূজোর মতোই বিখ্যাত উলুবেড়িয়ার জয়পুর থানার খালনা গ্রামের লক্ষী পূজো। সেই লক্ষী পূজোকে ঘিরে সাজসাজ রব গোটা এলাকা জুড়ে।
খালনা গ্রামে প্রায় একশোটি বারোয়ারী লক্ষী পূজো হয়। তার মধ্যে চল্লিশটি বড় বাজেটের পূজো। বিগত বহু বছর ধরে ধূমধাম করে পূজো হলেও দেশ জুড়ে আর্থিক মন্দার কারণে চলতি বছরে পূজোর জৌলুস কমেছে অনেকটাই। এই গ্রামের বহু মানুষ স্বর্ন শিল্পের সাথে যুক্ত।
তাদের মধ্যে বেশীরভাগ কর্ম সুত্রে থাকেন কলকাতায়। স্বর্ন শিল্পে আর্থিক মন্দার কারণে লক্ষী পূজোর জৌলুস কমেছে অনেকটাই। উদ্যোক্তাদের দাবি এই এলাকার বেশীরভাগ মানুষই স্বর্ন শিল্পের সাথে যুক্ত। মন্দার কারণে কমছে চাঁদার পরিমাণ। স্বাভাবিক ভাবেই কমছে পূজোর বাজেট।
এলাকার বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন এই এলাকায় দূর্গা পূজো হয় হাতে গোনা। লক্ষী পূজোই এখানকার শ্রেষ্ঠ উৎসব। এখানকার মানুষ লক্ষী পূজোতেই নতুন জামা কাপড় পড়েন। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই পূজো উপলক্ষে।
কিন্তু আর্থিক মন্দার ছায়া পড়েছে পুজোর উপর। এক পূজো উদ্যোক্তা উদয় বোধক বলেন স্বর্ন শিল্পের মন্দার পাশাপাশি একশো দিনের কাজ কমে যাওয়ায় মানুষের হাতে টাকা পয়সা যথেষ্টই কম। তার ছায়া কিছুটা হলেও পূজোর উপর পড়েছে।