নিজস্ব সংবাদদাতা : অফিসিয়ালি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ না দিয়েও শাসকদলের শ্রমিক ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসির কর্মীসভায় হঠাৎই হাজির প্রাক্তন বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার রবীন্দ্রভবনে এই কর্মীসভায় এসে জয় বলেন, বিজেপিতে থাকাকালীন আমি যখন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি, চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা আসতে পারেনি। আমার বোন আমেরিকা থেকে এসে সকলের কাছে গিয়েও কোন সাহায্য পায়নি আমার জন্য। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যখন আমি বিজেপিতে যোগদান করি তখন তৃণমূলের রমরমা অবস্থা। সেই সময় আমি বিজেপির হয়ে দার্জিলিং থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত সফল সভা করেছি। কিন্তুু আমি যখন ওতো বড় বিপদে পড়লাম তখন দলের কাউকে পাশে পাইনি। যে দলের হয়ে এত করলাম তাদের কাউকেই আমি পেলাম না। সেই সময় কৈলাশ বিজয়বর্গী বাগনানে এক তোলাবাজের একটি প্রোগ্রামে এসে ঢাকঢোল পেটাতে ব্যস্ত। এইসব লোক দিয়ে যে বিজেপি চলছে সেই বিজেপিতে আমি এতদিন যে কেন ছিলাম সেটাই আমি আফসোস করছি। তিনি জানান, তাই আমি গত ৬ই নভেম্বর আমি শ্রদ্ধেয় মোদীজিকে মেল করি দল ছাড়ি।
পাশাপাশি এটাও আমি বলেছিলাম যে দল মানুষের সাথে আছে। মানুষ যে দলের সাথে আছে আমি সেই দল করতে চাই। সেই মত আমি তৃণমূলের একটি এপ্লিকেশন করেছিলাম আমি যেদিন দল থেকে ডাক পাবো বা আমাকে যদি ডাকা হয় বাকি জীবনটা আমি মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি ও শ্রীমান অভিষেক ব্যানার্জীর নেতৃত্বে তৃণমূলের হয়েই মানুষের জন্য সেবা করে যাব। তিনি আরো জানান, এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম এখানকার তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তাই একটু হাই-হ্যালো ও মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করে গেলাম।
তিনি বলেন এখানে একজন টুইটার বাবু আছে তাকে ঘুঁটের মালা পরিয়ে জুতা মারতে মারতে প্লেনে তুলে দিল্লি পাঠিয়ে দেয়া উচিৎ। অন্যদিকে, বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সভাপতি এই প্রসঙ্গে বলেন ওনাকে দল অনেক কিছুই দিয়েছে বিভিন্ন পদ দিয়েছে এখন ওনার বিজেপি সম্বন্ধে মোহভঙ্গ হয়েছে তাই বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। এটা ওনার ব্যক্তিগত মত। তবে উনার হয়তো আরও চাহিদা ছিল যেটা দল এই মুহূর্তে দিতে পারেনি। এদিন রবীন্দ্র ভবনে যখন ব্যানার্জী প্রবেশ করছিলেন তখন তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিতেও দেখা যায় নেতা-কর্মীদের।