নিজস্ব সংবাদদাতা : কৃষি প্রধান বাংলায় বহু মানুষ কৃষিকাজ করে জীবনযাপন করেন। হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। জেলার বহু পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাঠে সোনালী ফসল ফলান চাষিরা। তার উপর ঋণের বোঝা তো রয়েইছে! কিন্তু এসবের পরও বন্য শূকরের দাপটে ঘুম ছুটেছে চাষীদের। অভিযোগ, হাওড়া জেলার নলপুর এলাকায় রাতের অন্ধকারে বিঘার পর বিঘা জমিতে তান্ডব চালাচ্ছে বন্য শূকরের দল। আর তার জেরে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ফসল। স্থানীয় চাষীরা জানিয়েছেন, বন্য শূকরের তান্ডবের জেরে বিঘার পর বিঘা জমিতে নষ্ট হচ্ছে ধান। নলপুরে মাঠভর্তি ধান নষ্ট হয়ে মাঠেই তা পড়ে রয়েছে। কীভাবে এই ক্ষতির মুখ থেকে নিজেদের বাঁচাবেন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন, অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কেউবা নিজের সমস্ত সঞ্চিত পুঁজিকে বাজি রেখে চাষের কাজে হাত দিয়েছিলেন। এবার ভালো ফলন হওয়ার পরও বুনো শূকরের তান্ডবে বিঘের পর বিঘে ধানজমিতে ধান নষ্ট হচ্ছে। ধানের পাশাপাশি শাকসব্জি চাষেও ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে বলেও তারা জানান। দীর্ঘ কয়েক বছর এ সমস্যায় ভুক্তভোগী এলাকার চাষিরা। নলপুর এলাকার চাষি কানু বেরা তার জমিতে শশা, চিচিঙে, ঝিঙে সহ অন্যান্য শাক-সব্জির চাষ করেছিলেন। তিনি জানান, মধ্যরাতে শূকরের তান্ডবে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকার ধান চাষি লক্ষ্মণ ঢালীর কথায়,”এবছর বাজার থেকে সুদে টাকা নিয়ে ধান চাষ করেছিলাম। ভালোই ফলন হয়েছিল। কিছুদিন পর ধান কাটব ভেবেছিলাম। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। জমিতে শুয়োরের পাল ঢুকে সব তছনছ করে দিয়েছে।” কীভাবে বন্য শূকরের হাত থেকে রক্ষা পাবে চাষজমি, এখন সেই আশাতেই তাকিয়ে রয়েছেন লক্ষ্মণ ঢালী, কানু বেরার মতো চাষীরা।