নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ষা নামলেই জীবনে দুর্ভোগ নামে। বাংলাজুড়ে যখন উন্নয়নের জোয়ার, ঠিক তখনই হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। কোলে শিশু নিয়েই কাদা পেরিয়ে শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে আসতে হয় মা’য়েদের। এ ছবি একদিন বা এক সপ্তাহের নয়, দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার বহু মানুষ। এভাবেই দিনের পর দিন হাঁটুসমান কাদা পেরিয়ে নিত্যকাজ করতে হয় হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ব্লকের বড়গাছিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্ন্তগত মধ্য সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দাদের। বর্ষা নামলেই মাটির কাঁচা রাস্তায় কাদায় ভরে ওঠে। হাঁটু সমান কাদা পেরিয়েই প্রতিদিন কাজে বেরতে হয় স্থানীয় মানুষকে। দোকান-বাজার, স্কুল-কলেজ যাতায়াত এমনকি পানীয় জল আনতেও কাদা পেরোতে হয় এলাকার মানুষ। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এসমস্যা বহু দিনের। তাদের অভিযোগ, বছর খানেক আগে পঞ্চায়েতের তরফে কাঁচা মাটির রাস্তা পাকা করার জন্য বসানো হয়েছিল ফলক। কিন্তু বছর ঘুরে গেলেও কাঁচা রাস্তা কাঁচাই রয়ে গেছে বলে অভিযোগ। বর্ষায় চরম সমস্যা নিয়েই দিনযাপন করতে হয় মধ্য সন্তোষপুরের মানুষকে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বহুবার এবিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েতের তরফে বহুবার ভিজিটও হয়েছে। কিন্তু রাস্তার হাল ফেরেনি। বিষয়টি প্রসঙ্গে বড়গাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তনুশ্রী দাস জানান, রাস্তা তৈরির জন্য পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
সেই মোতাবেক রাস্তা তৈরির জন্য ইট রাখা হয়েছিল ওই এলাকায়। পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, সেখান থেকে সেই ইট চুরি হয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাস্তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা সোনালী মালিক জানান, এলাকার সদস্য হিসেবে ওই রাস্তা তৈরির জন্য অ্যাকশন প্ল্যান এ দিয়েছিলেন। তবে রাস্তা তৈরীর কাজের কথা তিনি শোনেননি। এমনকি তাকে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানোও হয়নি বলে তিনি জানান। নিত্য যন্ত্রণার হাত থেকে কবে মুক্তি পান এলাকাবাসী এখন সেটাই দেখার।