নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। আর তার জেরেই চরম বিপাকে পড়েছেন হাওড়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিই অস্থায়ী ভিত্তিতে পার্ট টাইম শিক্ষক নিয়োগ করেন। তাঁদের ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়।
আংশিক সময়ের শিক্ষক হলেও কেউ ১৫ বছর আবার কেউবা ৫ বছর ধরে শিক্ষকতার কাজ করে চলেছেন। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড থেকেই তাঁদের বেতন দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। আর তার জেরে বেশিরভাগজনেরই বেতন মিলছে না বলে অভিযোগ। স্কুল পার্ট টাইম টিচার অ্যাসোসিয়েশনের (SPTTA) হাওড়া জেলার সভাপতি কার্তিক মারিক বলেন, “বন্ধ বেতন। এমনকি করোনার জেরে গৃহ শিক্ষকতাও বন্ধ। তাই এখন আমাদের কোনো রোজগার নেই। কীভাবে সংসার চালাবো বুঝতে পারছিনা।”
কার্তিক বাবুর কথায়, “কলেজের অতিথি অধ্যাপক ও আংশিক সময়ের অধ্যাপকগণও আমাদের মতো কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিযুক্ত হন। তাঁদের সরকার স্থায়ীকরণ করেছেন। কিন্তু, স্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের কাজের কোনো স্থায়ীত্ব নেই। অথচ আমাদের একজন স্থায়ী শিক্ষকের সমান ক্লাস করতে হয়।”
গত ২০১৯ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, বিকাশভবনে একাধিকবার স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েও কোনো সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ কার্তিক মারিকের। মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁদের আপদকালীন সাহায্য করুক রাজ্য সরকার —চান এরাজ্যের কয়েক হাজার আংশিক সময়ের শিক্ষক।