নিজস্ব সংবাদদাতা : আম্ফান আসে আয়লা যায়, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপের মানুষের অবস্থা একই রয়ে যায়। আয়লার পর কেটে গেছে দীর্ঘ প্রায় ১১ টি বছর।
সময়ের চাকা ঘুরে গেলেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল ঘটেনি সুন্দরবনের এই সমস্ত প্রান্তিক দ্বীপাঞ্চল গুলিতে। আম্ফানের তান্ডবে সেরকমই এক ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপের নাম মৌসুনি।
পর্যটনপ্রিয় বাঙালির দ্বারে মৌসুনি নিজের পরিচয় তুলে ধরলেও আম্ফানের দাপটে এক লহমায় কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সেই চিত্রটা। মৌসুনি জুড়ে আজ কেবল একরাশ শূন্যতা। দিকদিকে হাহাকার। পানীয় জল, খাদ্য, বস্ত্রের তাগিদে।
পেটের ভাত থেকে মাথার ছাদ সবই কেড়ে নিয়েছে সর্বগ্রাসী আম্ফান। এরকই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে মৌসুনির মানুষের পাশে দাঁড়াল হাওড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো পাল্টাই’।
সংগঠনের সদস্যরা মৌসুনি দ্বীপের বাগডাঙা, বালিয়াড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রায় ১৫০০ পরিবারের হাতে তুলে দিল চাল, ডাল, আটা, বিস্কুট, জিওলিন, স্যানিটারি ন্যাপকিন সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।
সংগঠনের অন্যতম কর্তা সুমিত চক্রবর্তী জানান, “সারা লকডাউন জুড়ে সদর হাওড়ার বেশ কিছু অসহায় শিশুকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। তার সাথে আমাদের এই উদ্যোগ।”
জি-প্লট, গোবর্ধ্বনপুর সহ আম্ফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন উপকূলবর্তী গ্রামের মানুষের জন্যও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।