নিজস্ব সংবাদদাতা : হঠাৎ লকডাউনের জেরে দেশ – বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিক, পড়ুয়াদের পাশাপাশি আটকে গেছেন ভ্রমণপ্রিয় বহু বাঙালি পর্যটক। রাজ্য সরকার ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে। কিন্তু, পর্যটকরা কবে ফিরবেন সে ব্যাপারে এখনো কিছু স্পষ্ট করে জানা যায়নি। আর তাই লকডাউনে হরিদ্বারের হোটেলে বসেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে গ্রামীণ হাওড়ার বেশ কিছু পরিবার। সূত্রের খবর, গত ১৯ শে মার্চ হরিদ্বারে পৌঁছান হাওড়ার একটি পর্যটক দল।
দলটিতে সাঁকরাইল, আন্দুল, মৌড়ি, সদর হাওড়ার পাশাপাশি উলুবেড়িয়ার চন্ডীপুরের বেশ কয়েকটি পরিবার রয়েছে। দলের মোট সদস্য সংখ্যা ৭১। দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই ফুরিয়েছে নগদ টাকা। খাদ্য রসদও নেই বললেই চলে। কোনোরকমে হোটেলের ঘরে দিন কাটছে এই পরিবারগুলির। পর্যটক দলের সদস্য চন্ডীপুরের বাসিন্দা মলয় গাঙ্গুলি ফোনে জানান, “একরাশ আশা নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু, এভাবে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো তা কে-ই বা জানত। কোনোরকমে স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া রেশনে এতো জনের দিন কাটছে।
তবে হোটেল মালিক মানবিকতার পরিচয় দিয়ে দু’টো হোটেলে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে বাচ্চা, বৃদ্ধ – বৃদ্ধাদের নিয়ে এই ঘরবন্দী দশায় আতপ চালের ভাত খেয়ে ক’দিন আর চলবে!” মলয় বাবু জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে স্থানীয় উত্তরাখন্ড প্রশাসন, নবান্নে কিমবা এ রাজ্যের একাধিক নেতা – মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও কেউই এখনও পর্যন্ত সেভাবে আশার আলো দেখাতে পারেননি। তাই কবে লকডাউন উঠবে, কবেই বা নিজের ভিটেমাটিতে ফিরবেন তাঁরা – সেই আশাতেই এখন দিনগুনছেন হরিদ্বারে আটকে থাকা গ্রামীণ হাওড়ার বেশ কিছু পর্যটক।