নিজস্ব সংবাদদাতা : বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত হল হাওড়ার বঙ্গবাসী মোড় ৷ পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন থেকে বামেদের মিছিল রওনা হয় নবান্নের দিকে। মিছিল রোখার জন্য এ দিন সকাল থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় মিছিলের গোটা রুটে।
কোনও ভাবে যাতে মিছিল নবান্নের কাছে পৌঁছতে না পারে। আন্দোলনকারীরা প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁরা হাওড়া স্টেশন থেকে বঙ্কিম সেতু পেরিয়ে বঙ্গবাসী মোড় হয়ে মল্লিক ফটক থেকে বাঁ দিক ধরে জিটি রোড ধরে নবান্নের দিকে যাবে।এ দিন ওই রুটে তিনটি পর্যায়ে ব্যারিকেড করা হয়। মল্লিক ফটকের সামনে ব্যারিকেডটি মূল বাধা হিসাবে তৈরি করা হয়। সেখানে মিছিলের প্রথম ধাপে রাখা হয় মহিলা পুলিশ কর্মীদের। তাঁদের পিছনে কমব্যাট ফোর্স-রোবো কপ।
সেই বাধা পেরতে পারলে মিছিলকে ধাক্কা খেতে হবে ইস্পাতের ব্যারিকেডে।মল্লিক ফটকের কাছে মিছিল আটকায় পুলিশ ৷ প্রাথমিকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করলেও পিছু হটতে রাজি হননি আন্দোলনকারীরা।পরে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তখনই রনক্ষেত্র চেহারা নেই মল্লিক ফটক এলাকা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে চালানো হয় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস। আহত হয়েছেন একাধিক বামকর্মী।মাথা ফাটে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভ কারীদের। বিক্ষোভ কারীদের ছোঁড়া ইঁটে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও।
সেই ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের ফেলে বেধড়ক মারধর করে বাম কর্মী-সমর্থকরা। আহত হন বেশ কয়েকজন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। এমনকি বোমও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও নেতৃত্বদের দাবি হাইরাইজ ফিল্ডিংয়ের ওপর থেকে বোম ছোঁড়ে তৃনমূলের গুন্ডা বাহিনীরা।রাজ্যে কর্মসংস্থান, নতুন শিল্প তৈরি, কাজ না পাওয়া অবধি বেকার ভাতার ব্যবস্থা এবং কম খরচে পড়াশোনার সুযোগের দাবিতে দু’দিনের ওই নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় ১২ টি বামপন্থী যুব এবং ছাত্র সংগঠন।
সিঙ্গুর থেকে হাওড়া হয়ে নবান্ন পর্যন্ত ওই অভিযান বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়। সেই মিছিল এ দিন দুপুরে হাওড়া ষ্টেশন থেকে রওনা হয়।মল্লিক ফটকের কাছে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়।সব মিলিয়ে বলা যায় এলাকা একেবারে রনক্ষেত্র চেহারা নেয়। জানা গেছে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ৬২ জন আহত হয়েছে। তাদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।