নিজস্ব সংবাদদাতা : মৌসম, লগ্নজিতা, প্যামেলিনারা আর পাঁচটাদিনের মতোই সকাল সকাল স্কুলের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে হাজির হয়েছিল।ক্লাসও করল খুদেরা।ছুটির ঠিক আগের মুহুর্তে ওদেরই খুদে সহপাঠী হাতে তুলে দিল ছোট্ট উপহারের ঝোলা।
আদতে উপহারের ঝোলাটি ছোটো হলেও ঝোলায় রয়েছে আগামীকে বাঁচানোর বার্তা।নিজের চার বছরের জন্মদিনে ‘গ্রিন বার্থ-ডে’ পালনের মধ্যে দিয়ে এভাবেই নবপ্রজন্মের কাছে সবুজ প্রকৃতি গড়ার বার্তা পৌঁছে দিল ছোট্ট শুভাঙ্গন। গ্রামীণ হাওড়ার বাগনান-১ ব্লকের একটি বেসরকারি স্কুলের মন্তেশ্বরী-১ এর ছাত্র শুভাঙ্গন দে।
নিজের জন্মদিনে স্কুলের বন্ধুদের হাতে কাপড়ের ব্যাগ ও মেহগিনি গাছের চারা তুলে দিল চার বছরের শিশুটি।সামগ্রিক ভাবনা ও রূপায়ণে ছিল ‘স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ’ নামক আমতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ক্লাসের শেষে কাপড়ের ব্যাগে ৬০ টি গাছের চারা,মিষ্টি ও কেক নিয়ে পৌঁছায় শুভাঙ্গনের মা-বাবা।
সহপাঠীদের পাশাপাশি বড়ো দাদা-দিদি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও হাতে তুলে দেওয়া হয় চারাগাছ।সবশেষে চলে মিষ্টিমুখের পর্ব।ছোট্ট শুভাঙ্গন মিষ্টি হেসে বলে,”গাছ আমাদের বন্ধু।তাই সবাইকে গাছ লাগাতে হবে।”শুভাঙ্গনের বাবা পেশায় আইনজীবী শুভাশিস দে’র কথায়,”শিশুরাই আগামীর সম্পদ। তাই প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য শিশুদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।
তার জন্য গাছ লাগানোর পাশাপাশি তার সঠিক পরিচর্যার দরকার।সেই শুভবার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।”গাছ পেয়ে স্বভাবতই খুশি সহপাঠীরা।ছোট্ট আদৃত পাঁজা জানায়,”গাছ লাগাব নিজে হাতে”।স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা রঞ্জন দাস এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান,”আমরা অন্যান্য অভিভাবকদের কাছেই এই ধরনের জন্মদিন পালন করার অনুরোধ জানাব।”