নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশ জুড়ে ২১ দিনের ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। অসচেতন নাগরিককে সচেতন করে ঘরমুখী করতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে। তবে গতকাল বাগনান থানার সামনে এক যুবতীকে পুলিশের লাঠিচার্জ করার ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাগনান থানার সামনে দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাওয়া এক তরুণীকে লাঠিচার্জ করে হলুদ রঙের জামা পরিহিত এক মহিলা পুলিশকর্মী। পাশে উর্দিধারী পুলিশ কর্মীদেরও দেখা যায়। সেখানে লাঠিচার্জ করার সাথে সাথে ওই যুবতীকে পুলিশ কর্মীটি প্রশ্ন করেন, “তুমি কেন বেড়িয়েছ?” তারপরই ওই মহিলা পুলিশকর্মী প্রশ্ন করেন, “বাড়িতে ছেলে নেই…!” আর এই ভিডিওকে ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
পরে ঋতুপর্ণা শাসমল নামের ওই যুবতী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট করে জানান, “আমার বাড়িতে ৬৭ বছরের বৃদ্ধ বাবা ও মা আছেন। তাই আমাকেই সংসারের দায় দায়িত্ব নিতে হয়। আমি বাইরে বেড়িয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে খাবার কিনতে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম।” ওই যুবতী আরও বলেন, “একমাত্র পুরুষরাই বাড়ির দায়িত্ব নিতে পারেন?” পুলিশের কাছে তাঁর অনুরোধ, “দয়া করে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। আগে শুনুন তারপর ক্ষমতা প্রয়োগ করুন।”
উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশানুসারে ‘লকডাউন’ – এ ব্যাঙ্ক, ওষুধ, মুদিখানা সহ বিভিন্ন পরিষেবার চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। মানুষকে ঘরে থাকার কথা বলা হলেও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে মানুষ বেরোতে পারবেন (৭ জনের অনধিক)। কিন্তু, এই ভিডিওয় ওই যুবতীর উপর লাঠিচার্জ ও এই ধরনের প্রশ্ন বাগনান থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা সে রাজ্যের মহিলা পুলিশকর্মীর মুখে এহেন প্রশ্ন — সত্যিই কি কাম্য!