পৃথ্বীশরাজ কুন্তী : কর্মব্যস্ত রুটিনমাফিক জীবনের মাঝে ভ্রমণ যে কতখানি অক্সিজেন এনে দেয় তা ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরাই উপলব্ধি করতে পারেন। লম্বা সফর হোক কিংবা সপ্তাহান্তের কয়েকঘন্টার ঝটিকা সফর — সব ভ্রমণেরই একটা ভিন্ন স্বাদ রয়েছে৷ সেই স্বাদ উপভোগ করতেই ছুটির সকালে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। কিছুদিন আগেই জেনেছিলাম অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগান বাড়ির কথা। সেই উদ্দেশ্যেই এবার বেরিয়ে পড়া। ধুলাগড়, অঙ্কুরহাটি, চামরাইল, বালি হয়ে ধরলাম জিটি রোড। জিটি রোডের যানজট কাটিয়ে উত্তরপাড়া, ভদ্রকালী হয়ে কোন্নগর। রাস্তার ধারেই সুন্দর একটি তোরণ। তার পাশেই রয়েছে ভুবনজয়ী চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি। পথচলতি এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানালেন, এই গলিপথে এগিয়ে গেলেই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগানবাড়ি। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন...
কোন্নগর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ২ নং মীরপাড়া লেন। উল্লেখ্য, এর পাশেই বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহিদ শফিউর রহমানের জন্মভিটে। এই ২ নং মীরপাড়া লেনের দু’ধারে উঁচু পাঁচিল। পাঁচিলের গা বরাবর বিভিন্ন ধরনের গাছের সারি। এই পথেই সামান্য এগিয়ে যেতেই পৌঁছে গেলাম অভীষ্ট গন্তব্য কোন্নগরে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে। বাগানবাড়ির মূল গেটের বাইরে রয়েছে টিকিট কাউন্টার। সেখানে ১০ টাকার বিনিময়ে টিকিট কেটে নিয়ে পাশেই থাকা একটি বেসরকারি পার্কিংয়ে বাইক আর হেলমেট রেখে দিলাম। এবার গুটি গুটি পায়ে প্রবাদপ্রতিম কালজয়ী শিল্পীর স্মৃতিবিজড়িত বাগানবাড়ির ভিতরে প্রবেশের পালা। নিজের মধ্যে সেভাবে শিল্পীসত্ত্বা না থাকলেও আমি শিল্প ও শিল্পীর ভীষণভাবে অনুরাগী। তাই কেন জানিনা জায়গাটি সম্পর্কে জানার পর থেকেই এখানে আসার জন্য ভীষণ উদগ্রীব হয়েছিলাম। আর ঠিক যেটার জন্য অবন ঠাকুরের বাগানবাড়িতে আসার এতো স্পৃহা, বাগানবাড়ি চত্বরে ঢুকেই সেই শৈল্পিক নিদর্শন প্রথমেই চোখে পড়ল।
বাগানবাড়ির মূল গেট থেকে ঢুকেই ডানদিকে বেশ বড়ো একটা লম্বা দালান। আর কয়েকটি ছোট্ট ঘর। বাড়িটিতে প্রাচীনত্বের ছাপ স্পষ্ট। বিভিন্ন হস্তশিল্পের সামগ্রী, ছবি, গাছ দিয়ে সুন্দর করে দালানটিকে সাজানো হয়েছে। ওই ছোটো ছোটো ঘরগুলোর কোনোটি গ্রন্থাগার আবার কোনোটি রন্ধনশালা, অফিস ঘর। দালানের সামনের চাতালে বিভিন্ন রঙের আল্পনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এসব দেখতে দেখতেই সামনের দিকে এগিয়ে চলা। টবে বিভিন্ন ফুলের গাছ চাষ করা হচ্ছে। দু’ধারে সবুজ ঘাসের গালিচা। তারমধ্যেই নানা গাছের সমাহার। কোথাও লাল কাগজ ফুলের গাছ আবার কোথাও বা আম গাছে ঝুলছে আম। কাঁঠাল গাছে বেশ বড়ো বড়ো কাঁঠালেরও দেখা মিলল। পাশ দিয়েই ছান্দিক গতিতে বয়ে চলেছে হুগলী নদী। চারিদিক জুড়ে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। মাঝেমধ্যে সেই নিস্তব্ধতাকে ভাঙিয়ে দিচ্ছে পাখির ডাক। শ’দেড়েক মিটার আগেও জিটি রোডে যে নিত্য জীবনের কোলাহাল ছিল তা যেন মুহুর্তের মধ্যে উধাও। চারিদিকে সবুজ আর নিস্তব্ধ পরিবেশ। নদীপথে ওপারে পানিহাটি ঘাটের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলেছে একের পর এক লঞ্চ। হুগলী নদীর ধার বরাবর বাগানের সুসজ্জিত রাস্তা ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়া। পথের ধারেই পড়ল সৃজনশীল ভাবনায় গড়ে তোলা একটি ছোট্ট কুটির। কুটিরের গায়ে শিল্পের তুলিতে শৈল্পিক ভাবনা ফুটে উঠেছে।
কুটিরের ভিতরে শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি আবক্ষ মূর্তি রয়েছে। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সামনেই শিল্পীর বাড়ি। সাদা বাড়িটায় আভিজাত্যের ছাপ বেশ স্পষ্ট। দেখেই মনে হল বহু পুরানো বাড়ি। তবে তা সংস্কার করা হয়েছে। বাড়ির মধ্যে ঢুকে চোখে পড়ল বিভিন্ন স্বনামধন্য শিল্পীদের আঁকা নানা চিত্র। চোখে পড়ল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একাধিক ছবি। বাড়ির ভিতরের দেওয়াল আলমারি ও দালানে সাজানো রয়েছে কাঠ ও বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে তৈরি নানা হস্তশিল্প। একে একে এসব ঘুরে দেখলাম। বাড়ির পিছনের অংশেও রয়েছে নানা গাছের বাগান। পাশেই রয়েছে হুগলী নদীর ঘাট, যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে সেই ঘাটের গেট বন্ধ রয়েছে। বাগানবাড়ির একদম শেষ প্রান্তে এককোণে রয়েছে পীরের সমাধিস্থল। পাশেই রয়েছে একটি কৃত্রিম জলাশয়। জানা যায়, এটি ছিল স্নানাগার। এখানেই সাঁতার শিখেছিলেন ছোট্ট অবন। দেখে মনে হল, কৃত্রিম উপায়ে পদ্ম চাষ করা হবে, তারই কাজ চলছে। ওই কৃত্রিম জলাশয়ের পাশেই রয়েছে বিভিন্ন রঙিন মাছ। পাশে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মুক্তমঞ্চ। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এই মঞ্চে। প্রাচীন তুলসী মঞ্চটিও সংরক্ষণ করা হয়েছে। রয়েছে ছোট্ট দুটো কুটির। কুটিরের গায়ে শিল্পী তাঁর শিল্পভাবনাকে রঙ-তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
জানা যায়, এখানেই থাকত অবন ঠাকুরদের ফিটন বা ঘোড়ার গাড়ি। রাখা হত পালকি। অবন ঠাকুর যে কাঁঠাল গাছের তলায় শৈশবে খেলা করতেন সেই গাছটিকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ছায়া সুনিবিড় বাগান বাড়ির রাস্তাটাও ভীষণ সাজানো গোছানো। রাস্তার ধার বরাবর কোথাও পাথর দিয়ে সৃজনশীল ভাবনায় গড়ে তোলা হয়েছে বসার জায়গা আবার কোথাও বা পরিত্যক্ত গাছের গুঁড়িকে সুন্দর করে সৌন্দর্যায়নের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় সবুজ ঘাসের মাঝেও বর্গাকারে নিপুণভাবে সাজানো হয়েছে। রাস্তার পাশে থাকা বাঁশের ফেন্সিং, বসার জায়গা এমনকি টয়লেটেও শৈল্পিক ভাবনার ছাপ রয়েছে। চারিদিকে শান্তিনিকেতনি ভাবনার প্রতিফলন বেশ স্পষ্ট। প্রবাদপ্রতিম বাঙালি চিত্রশিল্পীর যে বাড়ি থেকে আঁকায় হাতেখড়ি হয়েছিল সেই বাড়িটা যে শিল্পের সূতিকাগার তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু কয়েক বছর আগেও এই বাগান বাড়িটা অবহেলার শিকার হয়ে একটা জঙ্গলের স্তূপ হয়ে পড়েছিল।
ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কেনা অজস্র জমিদারির মধ্যে একটি অংশ ছিল কোন্নগরের হুগলী নদী তীরবর্তী এই বাগানবাড়ি। কোন্নগরের এই বাগানবাড়ি তাঁর মধ্যমপুত্র গিরীন্দ্রনাথের ভাগে পড়েছিল। গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর উত্তরাধিকার সূত্রে এই বাগানবাড়িটি পান। গুণেন্দ্র পুত্র অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝেমধ্যেই ছোটোবেলায় এই বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসতেন। এখানেই তাঁর শিল্পীজীবনের হাতেখড়ি। শিল্পী তাঁর আত্মজীবনী ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’তে লিখেছেন,”কোন্নগরে কী আনন্দেই কাটাতুম।…সেই সেবার কোন্নগরে আমি কুঁড়েঘর আঁকতে শিখি…”। বাগানবাড়ির গা দিয়ে বয়ে চলা নদীর স্মৃতি, আশেপাশের গাছগাছালি, পরিবেশ, কুঁড়েঘরের স্মৃতি মাঝমধ্যেই ভিড় করত শিল্পীর মনে। বিভিন্ন লেখনিতেও তার উল্লেখ রয়েছে। শিল্পীর শৈশব জীবনের একটা বড়ো অংশ এই বাগানবাড়িতে কেটেছে। বহু প্রাতঃস্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিত্ব এখানে এসেছেন। কোন্নগর বাগানবাড়ির অপর প্রান্তে পানিহাটিতেও ঠাকুর পরিবারের একটি বাগানবাড়ি রয়েছে। ‘পেনেটির বাগানবাড়ি’ নামে ওই বাগানবাড়ির উল্লেখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় পাওয়া যায়। গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আকস্মিক মৃত্যুর পর বাগানবাড়ি ছেড়ে কোলকাতায় চলে যান অবন ঠাকুর ও তাঁর পরিবার। এখানে পড়ে থাকে তাঁদের পোষ্য কুকুর, ঘোড়া, বাঁদর, হরিণ সহ বিভিন্ন জীব।
১৯৪৪ সালের ১৬ ই জানুয়ারী এই বাগান বাড়িটি পুলিনকৃষ্ণ রায় নামক জনৈক ব্যক্তির নামে পৌরসভার রেকর্ডে নথিভুক্ত হয়(প্লট নম্বর ৮০৯৬, ৮১০০, ৮২০৪, ৮২০৫ )। তারপর কালের নিয়মে একসময় পরিত্যক্ত হতে বসে এই বাড়ি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হতে বসে ভুবনজয়ী শিল্পীর স্মৃতিধন্য বিভিন্ন সামগ্রী ও তাঁর বাসভবন। একসময় এই বাগানবাড়িতে যে কাটিয়ে ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই বিষয়টি বহুদিন কোন্নগরবাসীর কাছে অপরিজ্ঞাত থেকে যায়। ২০০৭ সালে এই বাগানবাড়িকে হেরিটেজ ভবন হিসাবে ঘোষণা করেন হেরিটেজ কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. প্রতাপ চন্দ্র চন্দ্র। তারপরও এই বাগানবাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্টা করে একটি বেসরকারি বহুতল নির্মাণকারী সংস্থা। বিষয়টি আদালত অব্ধি গড়ায়। ঐতিহ্যকে বাঁচাতে পথে নামে কোন্নগর পৌরসভা, কোন্নগরের সংস্কৃতিপ্রেমী, ইতিহাসসচেতন মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। অবশেষে ২০১৯ সালের ৫ ই মার্চ এই জমির মূল অংশ কোন্নগর পৌরসভাকে হস্তান্তর করে ওই বেসরকারি বহুতল নির্মাণকারী সংস্থা। তারপরই শুরু হয় নতুন করে অবন ঠাকুরের বাগানবাড়িকে সাজানোর প্রক্রিয়া। কোন্নগর পৌরসভার উদ্যোগে নতুন ভাবে, নতুন রূপে সংস্কারের পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই বাগানবাড়ি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
যদিও কোভিডের কারণে বিভিন্ন সময়ে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বর্তমানে বাগানবাড়িটিকে কোন্নগর পৌরসভাই দেখাশোনা করে। প্রতি সোমবার বাগানবাড়িটি পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। বাকি সবদিন(মঙ্গল-রবি) সকাল ১০ টা থেকে – বিকেল ৫ টা অব্ধি বাগানবাড়িটি পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য ১০ টাকা। ঐতিহ্যবাহী এই বাগানবাড়ির ভিতরে রয়েছে পরিচ্ছন্ন টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা। বাইরেই রয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এমনকি নদীর পাড়ের ভাঙনে যাতে বাগানবাড়ি কোনোরকমে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য পর্কোপাইলিং পদ্ধতিতে নদীর পাড় বরাবর বিশেষ ব্যারিয়ার করা হয়েছে। সমগ্র বাগানবাড়িটি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাধীন। রয়েছে শিশুদের জন্য দোলনা, স্লিপ সহ বিভিন্ন খেলার সামগ্রী। সমগ্র বাগানবাড়িটি যে ভীষণ পরিচর্যার মধ্যে রাখা হয় তা বাগান বাড়ি চত্বরে প্রবেশ করলেই বুঝতে পারা যাবে। ট্রেনে কোন্নগর স্টেশন পৌঁছে, স্টেশনের বাইরে থেকে টোটো বা অটো ধরে সোজা পৌঁছে যাওয়া যায় এই বাগানবাড়িতে। বাসেও জিটি রোড ধরে চলে আসা যায় অবন ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানে। ঘন্টা দু’য়েক বাগানবাড়ির মনোরম পরিবেশে কাটানোর পাশাপাশি হাতে কিছুটা সময় থাকলে ঘুরে দেখে নিতে পারেন কোন্নগরে থাকা বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষের পৈতৃক ভিটে, কোন্নগর ব্রাহ্মসমাজ, দ্বাদশ শিব মন্দির, রাজরাজেশ্বরী মন্দির সহ একাধিক জায়গা।
হুগলী নদী তীরবর্তী অবন ঠাকুরের এই বাগানবাড়ির শান্ত সবুজ পরিবেশ আর চারিদিকের বিভিন্ন শৈল্পিক নিদর্শন সকলের মনে যে খুব সহজে জায়গা করে নেবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়। ইতিহাসকে বাঁচাতে, ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে ও শহরের পর্যটনকে এক অন্য মাত্রায় উন্নীত করতে কোন্নগর পৌরসভার এই অনন্য উদ্যোগ ভীষণভাবে প্রশংসনীয়। এখনো বিভিন্ন সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। যাঁরা সপ্তাহান্তে কাছেপিঠে বেড়িয়ে পড়তে পছন্দ করেন, কিংবা যাঁরা নদীর পাড়ের কলকাকলিমুখর পরিবেশে বসে একান্তে ছবি আঁকতে বা কবিতা লিখতে পছন্দ করেন বা যদি কিছুটা সময় শান্তিনিকেতনি পরিবেশে কাটাতে চান তাহলে কয়েকঘন্টা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন হুগলী জেলার কোন্নগরে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগানবাড়ির উদ্দেশ্যে।