নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্য সরকারের সাথে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন ইস্যুতেই রাজ্য সরকারের তীব্র বিরোধীতা করতে দেখা গেছে বঙ্গের বর্তমান সাংবিধানিক প্রধানকে। এবার উদয়নারায়ণপুরে এসে রাজ্যের পুলিশ ও একশ্রেণীর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার সকালে গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর থানার গড়ভবানীপুরে ‘ফ্রেন্ডস সোসাইটি’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,”এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তান্ডবের স্মৃতি মাথায় রয়েছে। আমি কথা দিচ্ছি আগামী নির্বাচনে এমনটা ঘটবে না। আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দক্ষ। ভোট কীভাবে রক্তপাতহীন করতে হয় তা খুব ভালো জানে।” তিনি পুলিশ ও সরকারি আধিকারিকদের এক হাতে নিয়ে বলেন,”আইনের শাসন থাকা দরকার। কিন্তু বাংলায় তা নেই। অনেক পুলিশ কর্মী ও সরকারি আধিকারিক রাজনীতি করছেন। এভাবে চলতে পারেনা। রাজ্যপালের কাজ রাজনীতি করা নয়। ভোটকে শান্তিপূর্ণ করতে বাংলার মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।”
এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুপারি নেওয়ার অভিযোগ তুলে কড়া হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন,”সরকারি কর্মীরা রাজনৈতিক সুপারি নিচ্ছেন। এটা একদমই ঠিক নয়। রাজনৈতিক সুপারি নেওয়া চলবে না।” সম্প্রতি পুলিশ আধিকারিকদের বদলিকে কটাক্ষ করে রাজ্যপাল বলেন,”সম্প্রতি যে পোস্টিং হয়েছে তার পরেই অফিসাররা তাদের কাজ চালু করে দিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদেরকে বলেছি এমনটা করবেন না। এটা হলে তা হবে প্রজাতন্ত্রের জন্য দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে তারাই প্রথম পড়ে যারা দুরাচার করে।”
অন্যদিকে এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,”করোনায় সারা বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির ভয়ঙ্কর ক্ষতির হয়েছে। ভারতে আরও খারাপ পরিণতি হতে পারত, কিন্তু তা হয়নি। আমাদের দেশ এমন নেতাকে পেয়েছে যিনি এই কঠিন সমস্যায় জনতার সঙ্গে একত্রিত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” এদিন উদয়নারায়ণপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটিকে ১১ লক্ষ টাকা দান করেন রাজ্যপাল।