নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলায় বিধানসভা ভোটের বাদ্যি ইতিমধ্যেই বেজে গেছে। একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি। পিছিয়ে নেই এরাজ্যের শাসকদলও। এবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে মানুষের দ্বারে দ্রুত পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত কয়েকদিন আগেই ‘দুয়ারে সরকার’ নামক বিশেষ এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারই রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ নামক প্রকল্পের সূচনা হল। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ব্লকে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আমতা-১ ব্লকের আমতা বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক নির্মল মাজি, হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য, হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে, আমতা-২ ব্লকের ঝিকিরা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে ‘দুয়ারে সরকার’ অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল। শ্যামপুর-২ ব্লকের বারগ্রামে ও শ্যামপুর-১ ব্লকের ডিঙেখোলায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিভিন্ন জায়গাতেই মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য, প্রথম দিনেই রাজ্যজুড়ে প্রশাসনিক ক্যাম্পগুলিতে ১ লক্ষেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। সরকারের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সাড়া এবং প্রশাসনিক তৎপরতা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে তাঁর আহ্বান— বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প এবং সরকারি পরিষেবার সুযোগ নিতে সবাই আরও বেশি করে প্রশাসনিক ক্যাম্পে যান। স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ঐক্যশ্রী, জাতিগত শংসাপত্র, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কৃষকবন্ধু এবং ১০০ দিনের কাজ— এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা মিলবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্যাম্পগুলি থেকে।
এই সব প্রকল্প বা সরকারি পরিষেবার বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তাও ক্যাম্পে জমা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রথম দফায় ১ লা ডিসেম্বর থেকে ১১ ই ডিসেম্বর অব্ধি ক্যাম্পগুলি চলবে। পরের দফায় চলবে ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে ২৫ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। তৃতীয় দফায় ক্যাম্প বসবে ২ রা জানুয়ারি থেকে। চলবে ১২ ই জানুয়ারি পর্যন্ত।অন্তিম দফার কাজ চলবে ১৮ ই জানুয়ারি থেকে ৩০ শে জানুয়ারি অব্ধি।