নিজস্ব সংবাদদাতা : সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন না তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই সুশান্ত সিংহের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই।
তবে তাঁর যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এসেছিল সেখানে বলা হয়েছিল ‘ঝুলে পড়বার কারণে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু’। অর্থাৎ, একপ্রকার আত্মহত্যা। কেন তিনি এই পথ বেছে নিলেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা এখনো জারি রয়েছে। এরই মাঝে আজ ১০ ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এমন দিনে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গান বানালেন এক চিকিৎসক ও দুই র্যাপার।
গানের কথায় হেরে না যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। অ্যানিমেটেড ভিডিওতে র্যাপ গানটি বানানো হয়েছে। গানের লেখক মৈনাক বলেন, “বিশিষ্ট চিকিৎসক রঞ্জন ঘোষ এই ডিপ্রেশনের উপর একটি গান তৈরি করতে চাইছিলেন। সেই কথাটাই আমরা র্যপের মাধ্যমে বলেছি। আমি নিজেও বছর খানেক এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আমি বিষয়টা জানি কি সমস্যা হয়। বুঝেছি লড়াইটা নিজেকেই করতে হবে। সেটাই করেছি। এই গানেও সেটাই বলা হয়েছে।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ভিডিওতে একটি স্বাস্থ্যবান ছেলে হঠাৎই রোগা হতে শুরু করে এবং একটা সময় তার চেহারা মারাত্মক খারাপ হয় যায়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।কি কারনে এটা হচ্ছে সেই মানষিক অবস্থা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে এই ভিডিওতে।”
চিকিৎসক রঞ্জন ঘোষ বলেন, “আমি চাইছিলাম এমন একটা গান করতে যা মানুষকে ডিপ্রেশন নিয়ে বার্তা দেয়। আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এই গান সুশান্ত সিংকে উৎসর্গ করার মাধ্যমে মানসিক সমস্যায় মধ্যে দিয়ে যাওয়া মানুষদের লড়াই করার বার্তা দিয়েছে।” গানের র্যপ আর্টিস্ট মিক্স ভোক বলেন, “এই র্যপ মানুষের মনের কথা বলবে। একলা হলেও লড়াইটা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলবে।”
বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ -এ এই বছরে দিনটির প্রধান বার্তা ‘ওয়ার্কিং টুগেদার টু প্রিভেন্ট সুইসাইড’ অর্থাৎ ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে আট লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। সংস্থাটির মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। এরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করে থাকে।