নিজস্ব সংবাদদাতা : বিগত মাস ছয়েক ধরে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বারবার মার খেয়েছে ফুল চাষ।
চরম সমস্যায় পড়েছেন ফুল চাষীরা। পাশাপাশি অজানা ভাইরাসের আক্রমনে নষ্ট হয়েছে গোলাপ চাষের।
সেই কারণে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ফুল চাষীদের। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই করোনার সতর্কতায় লক ডাউনের ফলে মাঠেই নষ্ট হচ্ছিল মাঠের ফুল।
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুলের বাজার খোলার কথা ঘোষণা করেছেন। ফলত কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন ফুল চাষীরা।
উলুবেড়িয়ার বাগনানের দেউলটি, ঘোড়াঘাটা, সহ বিস্তৃর্ণ এলাকায় ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে কয়েক হাজার পরিবার।
তাদের দাবি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি লক ডাউনের ফলে বারবার ব্যাহত হয়েছে ফুলের চাষ। ফলত চরম আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে ফুল চাষীদের।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর হয়তো তাদের সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। এক ফুল চাষী গৌতম ধাড়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন আমাদের এলাকার কয়েক হাজার পরিবার ফুল চাষের উপরেই নির্ভরশীল।
বিগত কয়েকমাস বারবার ফুল চাষ করে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। চরম আর্থিক সমস্যায় রয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে নতুন করে আশার আলো দেখছি। আর এক ফুল চাষী দুলাল মান্না বলেন মুখ্যমন্ত্রীতো ঘোষনা করেছেন।
কিন্তু মন্দির, মসজিদ সব বন্ধ। বিয়ে বাড়ি বা কোন অনুষ্ঠান হচ্ছেনা। ফুল বাজারে নিয়ে গেলেও খরিদ্দার পাবো কোথায়।
আর এক চাষী অনুপ পাখিরা বলেন ফুল মাঠ থেকে তুলে ফেলে দিতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন শুধু ফুল বাজার খুললেতো হবেনা।
আমাদের ফুল গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। পাশাপাশি হাওড়া ও কলকাতায় প্রচুর ফুল যায়। ট্রেন বা বাস না চললে ফুল নিয়ে বাজারে যাবো কিভাবে?
সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ফুল চাষীরা আশার আলো দেখলেও পুরোপুরি উদ্বেগ মুক্ত হতে পারছেন না।